১২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • / ৪১৫৮ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাজেট ২০২৩-২৪ : শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে বক্তারা ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বৃদ্ধি ও শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টারের পরিচালক ড. এম. আবু ইউসুফ।

বক্তারা বলেন, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিওর দিক দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে তলানিতে রয়েছে। কীভাবে আরও অধিক পরিমাণ মানুষকে সংযুক্ত করে এই রেশিও বাড়ানো যায় সেটি ঠিক করতে হবে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

আরও পড়ুন: মিথ্যা সংবাদ প্রচারে অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করা হবে: তথ্যমন্ত্রী

মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এবারের বাজেটে ভালো-মন্দ দুদিকই আছে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমেছে এটা ঠিক। কিন্তু স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, সামাজিক সুরক্ষা খাতেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হয়। তা নাহলে অন্যদের সঙ্গে বৈষম্য হয়ে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য দরিদ্রতা ও বৈষম্য কমিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা। আমরা এখনো পুরোপুরি সফল হইনি। পৃথিবীর কোনো দেশই পুরোপুরি বৈষম্য কমাতে পারেনি। আমেরিকাতেও বৈষম্য আছে।

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান পরস্পর আন্তঃনির্ভরশীল। শিক্ষার গুনগত মান ও প্রায়োগিক ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা গেলে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করা যাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করতে হবে।

মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর এবং এটুআই প্রকল্পের পরিচালক ড. দেওয়ান এম হুমায়ুন কবির। এছাড়া সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদেও ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

আপডেট: ০৭:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাজেট ২০২৩-২৪ : শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে বক্তারা ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বৃদ্ধি ও শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টারের পরিচালক ড. এম. আবু ইউসুফ।

বক্তারা বলেন, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিওর দিক দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে তলানিতে রয়েছে। কীভাবে আরও অধিক পরিমাণ মানুষকে সংযুক্ত করে এই রেশিও বাড়ানো যায় সেটি ঠিক করতে হবে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

আরও পড়ুন: মিথ্যা সংবাদ প্রচারে অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করা হবে: তথ্যমন্ত্রী

মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এবারের বাজেটে ভালো-মন্দ দুদিকই আছে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমেছে এটা ঠিক। কিন্তু স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, সামাজিক সুরক্ষা খাতেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হয়। তা নাহলে অন্যদের সঙ্গে বৈষম্য হয়ে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য দরিদ্রতা ও বৈষম্য কমিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা। আমরা এখনো পুরোপুরি সফল হইনি। পৃথিবীর কোনো দেশই পুরোপুরি বৈষম্য কমাতে পারেনি। আমেরিকাতেও বৈষম্য আছে।

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান পরস্পর আন্তঃনির্ভরশীল। শিক্ষার গুনগত মান ও প্রায়োগিক ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা গেলে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করা যাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করতে হবে।

মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর এবং এটুআই প্রকল্পের পরিচালক ড. দেওয়ান এম হুমায়ুন কবির। এছাড়া সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদেও ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।

ঢাকা/টিএ