০২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

‘বীমার উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • / ১০৮১৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আইন অনুসারে বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে আগে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আমরা এটা কঠোরভাবে মনিটরিং করছি। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে যেহেতু সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে শেয়ার কিনে নিতে হবে, সেক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেন।

রোববার (২০ জুন) ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের বীমা খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। আইআরএফ সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমনের সঞ্চালনায় এবং সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাওলা’র সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, সাধারন বীমা কোম্পানিগুলো তদারকি করার জন্য ৪৫ জন নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ৪৫টি সাধারন বীমা কোম্পানির কার্যক্রম নিরীক্ষা করবে। এক্ষেত্রে সাধারন বীমা কোম্পানির নিরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, একটি জীবন বীমা কোম্পানি যখন সঠিক সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ না করে তখন এক ধরনের বদনাম ছড়ায়। এ কারণে আমরা জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

‘ইতোমধ্যে সুপারভাইজরি লেভেল এবং কমিশন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এর ফলে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর খরচ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করবে। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে’ বলেন ড. এম. মোশাররফ হোসেন। এ সময় বীমা খাতের কিছু সমস্যাও তুলে ধরেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান। এর মাধ্যমে জনবল সংকটকে প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর প্রায় ২ কোটি গ্রাহক। এই বিপুল জনগোষ্ঠী যে সেক্টরে জড়িত, তার নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ মাত্র ৩১ জন জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব কোন জায়গাও নেই। তবে আমাদের জনবল কাঠামো চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করছি এখন আমরা আরও কিছু জনবল নিয়োগ দিতে পারবো।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

‘বীমার উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে’

আপডেট: ০২:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আইন অনুসারে বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে আগে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আমরা এটা কঠোরভাবে মনিটরিং করছি। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে যেহেতু সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে শেয়ার কিনে নিতে হবে, সেক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেন।

রোববার (২০ জুন) ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের বীমা খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। আইআরএফ সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমনের সঞ্চালনায় এবং সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাওলা’র সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, সাধারন বীমা কোম্পানিগুলো তদারকি করার জন্য ৪৫ জন নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ৪৫টি সাধারন বীমা কোম্পানির কার্যক্রম নিরীক্ষা করবে। এক্ষেত্রে সাধারন বীমা কোম্পানির নিরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, একটি জীবন বীমা কোম্পানি যখন সঠিক সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ না করে তখন এক ধরনের বদনাম ছড়ায়। এ কারণে আমরা জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

‘ইতোমধ্যে সুপারভাইজরি লেভেল এবং কমিশন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এর ফলে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর খরচ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করবে। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে’ বলেন ড. এম. মোশাররফ হোসেন। এ সময় বীমা খাতের কিছু সমস্যাও তুলে ধরেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান। এর মাধ্যমে জনবল সংকটকে প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর প্রায় ২ কোটি গ্রাহক। এই বিপুল জনগোষ্ঠী যে সেক্টরে জড়িত, তার নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ মাত্র ৩১ জন জনবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব কোন জায়গাও নেই। তবে আমাদের জনবল কাঠামো চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করছি এখন আমরা আরও কিছু জনবল নিয়োগ দিতে পারবো।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: