১০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তিতুমীর কলেজকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষা উপদেষ্টা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৩৭ বার দেখা হয়েছে

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ড. মাহমুদ বলেন, এ অবস্থায় একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সময় বেঁধে দিয়ে যে আন্দোলন করছে সেটি ঠিক নয়। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দারি দাওয়া মানতে আসিনি। আমরা কিছু সংস্কার কাজ করছি। সেখানে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে আন্দোলন করা যৌক্তিক নয়।

তিনি বলেন, তিতুমীর কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে যেতে চায়। তারা জনদুর্ভোগ চায় না। জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধও করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে চায় না। তাই ৭ কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি কমিটি কাজ করছে।

আরও পড়ুন: প্রশাসন থেকে হাসিনার দোসরদের সরাতে এক মাসের আল্টিমেটাম

তিনি বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করে ভালো, কিন্তু তাদেরতো পড়ালেখা করতে হবে। পরীক্ষা না দিলেতো ভবিষ্যতে সমস্যা হবে।

তিরি আরও বলেন, দেশে অনেক ঐতিহ্যবাহী কলেজ আছে। যেমন রাজশাহী কলেজ সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও আগে হয়েছে। তাহলে সেখানেও কি বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে? বর্তমানে প্রায় ৫০ এর উপরে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যার অর্ধেকই হয়েছে গত ৭ বছরে। এসবের বাইরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চাপ সৃষ্টি করবে। আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। যাতে আগামী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশেষ বিবেচনার কোনো কথা বলিনি, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে সেখানে আমার লেখায় বিশেষ বিবেচনা শব্দ ছিল না। আমার লেখা সচিব মহদয় এডিট করেছেন মনে হয়। বিশেষ বিবেচনার কোনো কিছুই আমি বলিনি।

এর আগে গতকাল শনিবার সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বিবৃতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

তিতুমীর কলেজকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট: ০৫:৩৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ড. মাহমুদ বলেন, এ অবস্থায় একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সময় বেঁধে দিয়ে যে আন্দোলন করছে সেটি ঠিক নয়। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দারি দাওয়া মানতে আসিনি। আমরা কিছু সংস্কার কাজ করছি। সেখানে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে আন্দোলন করা যৌক্তিক নয়।

তিনি বলেন, তিতুমীর কলেজের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে যেতে চায়। তারা জনদুর্ভোগ চায় না। জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধও করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে চায় না। তাই ৭ কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি কমিটি কাজ করছে।

আরও পড়ুন: প্রশাসন থেকে হাসিনার দোসরদের সরাতে এক মাসের আল্টিমেটাম

তিনি বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করে ভালো, কিন্তু তাদেরতো পড়ালেখা করতে হবে। পরীক্ষা না দিলেতো ভবিষ্যতে সমস্যা হবে।

তিরি আরও বলেন, দেশে অনেক ঐতিহ্যবাহী কলেজ আছে। যেমন রাজশাহী কলেজ সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও আগে হয়েছে। তাহলে সেখানেও কি বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে? বর্তমানে প্রায় ৫০ এর উপরে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যার অর্ধেকই হয়েছে গত ৭ বছরে। এসবের বাইরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চাপ সৃষ্টি করবে। আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। যাতে আগামী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশেষ বিবেচনার কোনো কথা বলিনি, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে সেখানে আমার লেখায় বিশেষ বিবেচনা শব্দ ছিল না। আমার লেখা সচিব মহদয় এডিট করেছেন মনে হয়। বিশেষ বিবেচনার কোনো কিছুই আমি বলিনি।

এর আগে গতকাল শনিবার সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বিবৃতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

ঢাকা/এসএইচ