০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

তিন মাসে বিদেশি ঋণ কমেছে ২৫৪ কোটি ডলার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২৮২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

দ্রুত বাড়তে থাকা বিদেশি ঋণ কিছুটা কমেছে। তিন মাসে প্রায় ২৫৪ কোটি ডলার কমে গত সেপ্টেম্বর শেষে ৯২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এ সময়ে সরকারি খাতে ১৯৯ কোটি ডলার কমে হয়েছে ৬৭ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। আর বেসরকারি খাতে প্রায় ৫৫ কোটি ডলার কমে ২৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে সুদহার অনেক বেড়েছে। আবার গত এক বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের দর ২৫ শতাংশের মতো বৃদ্ধির ফলে এমনিতেই আগের দায় পরিশোধে খরচ বেড়েছে। আগামীতে পরিশোধের খরচ অনেক বাড়বে। আবার ডলার সংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ব্যাংকগুলোও আগের মতো বিদেশি ঋণে উৎসাহিত করছে না। সব মিলিয়ে ঋণ কমেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে আগের প্রান্তিকের তুলনায় স্বল্পমেয়াদি ঋণ ৪৪ কোটি ২৪ লাখ ডলার কমে ১ হাজার ৭৩১ কোটি ডলারে নেমেছে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি ব্যাক টু ব্যাক এলসি আগের প্রান্তিকের ১১৭ কোটি ডলার থেকে কমে ৮৯ কোটি ডলারে নেমেছে। ডেফার্ড বা দেরিতে পরিশোধের শর্তে ঋণের পরিমাণ ১০২ কোটি ডলার থেকে কমে ৮২ কোটি ডলারে নেমেছে। বেসরকারি খাতে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের ঋণের পরিমাণ ৪৪৪ কোটি ডলার থেকে নেমেছে ৪০৯ কোটি ডলারে। অবশ্য এ সময়ে বায়ার্স ক্রেডিট বা বিদেশি বিক্রেতা থেকে ঋণের পরিমাণ আগের প্রান্তিকের ৯৭৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ১৯ কোটি ডলারে উঠেছে। সাধারণত তৈরি পোশাক, জ্বালানি, খাদ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিমেন্ট, টোব্যাকোসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে এ অর্থ এসেছে।

আরও পড়ুন: সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ২ হাজার ৩৩৩ টাকা

করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে বেশিরভাগ জিনিসের দর বেড়েছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গত বুধবার ৩৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এরই মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১১২ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

তিন মাসে বিদেশি ঋণ কমেছে ২৫৪ কোটি ডলার

আপডেট: ১২:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

দ্রুত বাড়তে থাকা বিদেশি ঋণ কিছুটা কমেছে। তিন মাসে প্রায় ২৫৪ কোটি ডলার কমে গত সেপ্টেম্বর শেষে ৯২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এ সময়ে সরকারি খাতে ১৯৯ কোটি ডলার কমে হয়েছে ৬৭ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। আর বেসরকারি খাতে প্রায় ৫৫ কোটি ডলার কমে ২৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে সুদহার অনেক বেড়েছে। আবার গত এক বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের দর ২৫ শতাংশের মতো বৃদ্ধির ফলে এমনিতেই আগের দায় পরিশোধে খরচ বেড়েছে। আগামীতে পরিশোধের খরচ অনেক বাড়বে। আবার ডলার সংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ব্যাংকগুলোও আগের মতো বিদেশি ঋণে উৎসাহিত করছে না। সব মিলিয়ে ঋণ কমেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে আগের প্রান্তিকের তুলনায় স্বল্পমেয়াদি ঋণ ৪৪ কোটি ২৪ লাখ ডলার কমে ১ হাজার ৭৩১ কোটি ডলারে নেমেছে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি ব্যাক টু ব্যাক এলসি আগের প্রান্তিকের ১১৭ কোটি ডলার থেকে কমে ৮৯ কোটি ডলারে নেমেছে। ডেফার্ড বা দেরিতে পরিশোধের শর্তে ঋণের পরিমাণ ১০২ কোটি ডলার থেকে কমে ৮২ কোটি ডলারে নেমেছে। বেসরকারি খাতে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের ঋণের পরিমাণ ৪৪৪ কোটি ডলার থেকে নেমেছে ৪০৯ কোটি ডলারে। অবশ্য এ সময়ে বায়ার্স ক্রেডিট বা বিদেশি বিক্রেতা থেকে ঋণের পরিমাণ আগের প্রান্তিকের ৯৭৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ১৯ কোটি ডলারে উঠেছে। সাধারণত তৈরি পোশাক, জ্বালানি, খাদ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিমেন্ট, টোব্যাকোসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে এ অর্থ এসেছে।

আরও পড়ুন: সোনার দাম ভরিতে বাড়লো ২ হাজার ৩৩৩ টাকা

করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে বেশিরভাগ জিনিসের দর বেড়েছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গত বুধবার ৩৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এরই মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়ের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১১২ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএ