দেশটাকে ভাঙতে চাইনি: লিয়াকত আলী
- আপডেট: ০৬:১৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৩৪ বার দেখা হয়েছে
রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চাট্টা পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির দায় স্বীকার করেছেন। স্বীকার করার পর নিজের ভেতর ‘হালকা’ অনুভব করছেন উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ‘দেশটাকে ভাঙতে চাইনি।’ ভোট কারচুপির দায় স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর ডনের।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তিনি বলেন, ‘আমি সমস্ত অন্যায়ের দায় নিচ্ছি। শুধু আমি নই, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং প্রধান বিচারপতিও এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িত।’
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, কারচুপি করার জন্য তার উপর ‘চাপ’ ছিল। ‘দেশের পিঠে ছুরিকাঘাত করার কারণে’ তিনি রাতে ঘুমাতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে তিনি আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু তারপর জনসাধারণের সামনে বিষয়গুলো উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন।
নিজের শাস্তি চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যে অন্যায় করেছি তার জন্য আমাকে শাস্তি দেওয়া উচিত এবং অন্য যারা এই অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমস্ত আমলাতন্ত্রের কাছে আমার অনুরোধ, এই সমস্ত রাজনীতিবিদদের সঙ্গে অবিচার করবেন না।’
আরও পড়ুন: অস্ত্রের অভাবে আবদিভকা সরে গেছে ইউক্রেন
নির্বাচন পদ্ধতিতে অসঙ্গতি ছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু অসঙ্গতি বললে অনেক কম বলা হবে। যেসব স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭০ থেকে ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতছিলেন, তাদেরও জাল ভোট দিয়ে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে ভোট কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর। অবসরের পর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা আছে বলে কমিশনার এমন অভিযোগ করেছেন বলে মন্তব্য করেন আমির মীর।
এক প্রেস বিবৃতিতে ইসিপি বলেছে, ‘কমিশনের কোনো কর্মকর্তা নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের জন্য রাওয়ালপিন্ডি কমিশনারকে কোনো নির্দেশনা দেননি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
আমির মীর বলেন, ‘যদি তাকে জোর করা হয়, তাহলে নির্বাচনের দিন তিনি কেন সামনে আসেননি?’
৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে আসছিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সহ বেশ করেকটি দল।
জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অন্তত ৮৫টি আসনে জালিয়াতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
ঢাকা/কেএ