০৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে টানতে আইনী উদ্যোগ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১০১৭৬ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারের গতি ও গভীরতা বাড়াতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। দেশি ও বিদেশি বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরির উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্তির আওতায় আনতে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯৭১তম কমিশন সভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১১ মে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশি-বিদেশি বড় কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনার ভিত্তিতেই এবার শক্তিশালী আইনগত কাঠামো গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটির মতে, স্বেচ্ছায় অনেক প্রতিষ্ঠান বাজারে আসতে আগ্রহী নয়। তাই আইনের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করলে প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হতে বাধ্য হবে। বিশ্বজুড়ে অনেক দেশেই এই ধরনের আইনি বাধ্যবাধকতা প্রচলিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের বাজারে রেনাটার আরেকটি ওষুধ

বর্তমান ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন (এফআরএ) অনুযায়ী, ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ বলতে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিএসইসিতে প্রতিবেদন জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা এবং নির্দিষ্ট সীমার বেশি সম্পদ, রাজস্ব বা দায়সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়।

এফআরসির নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী— বার্ষিক রাজস্ব ৫০ কোটি টাকা, মোট সম্পদ ৩০ কোটি টাকা এবং মোট দায় ১০ কোটি টাকার মধ্যে যেকোনো দুটি শর্ত পূরণ করলেই কোনো প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এ তালিকার অন্তর্ভুক্ত।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে টানতে আইনী উদ্যোগ

আপডেট: ০২:১৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুঁজিবাজারের গতি ও গভীরতা বাড়াতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। দেশি ও বিদেশি বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরির উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্তির আওতায় আনতে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯৭১তম কমিশন সভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১১ মে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশি-বিদেশি বড় কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশনার ভিত্তিতেই এবার শক্তিশালী আইনগত কাঠামো গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটির মতে, স্বেচ্ছায় অনেক প্রতিষ্ঠান বাজারে আসতে আগ্রহী নয়। তাই আইনের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করলে প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হতে বাধ্য হবে। বিশ্বজুড়ে অনেক দেশেই এই ধরনের আইনি বাধ্যবাধকতা প্রচলিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের বাজারে রেনাটার আরেকটি ওষুধ

বর্তমান ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন (এফআরএ) অনুযায়ী, ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ বলতে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিএসইসিতে প্রতিবেদন জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা এবং নির্দিষ্ট সীমার বেশি সম্পদ, রাজস্ব বা দায়সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়।

এফআরসির নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী— বার্ষিক রাজস্ব ৫০ কোটি টাকা, মোট সম্পদ ৩০ কোটি টাকা এবং মোট দায় ১০ কোটি টাকার মধ্যে যেকোনো দুটি শর্ত পূরণ করলেই কোনো প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এ তালিকার অন্তর্ভুক্ত।

ঢাকা/এসএইচ