০৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমারই: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • / ৪১৭২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে দলমত ভিন্ন থাকতে পারে, তাতে কিছু আসে যায় না। দেশটা তো আমাদের। আর আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তার মানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমারই।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ভূমিহীন-গৃহহীন আরো ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ঘর হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বলব, তাদেরও দায়িত্ব আছে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে। অন্যান্য দলেরও যারা তাদেরকেও বলব, কারও কাছে যদি খবর থাকে যে বাংলাদেশের একটি মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন আছে- অবশ্যই আমাদের খবর দেবেন। দলমত নির্বিশেষে যেই গৃহহীন থাকবে- আমরা তাদেরকেই ঘর করে দেব, তাদের ঠিকানা দেব, তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেব।

এসময় পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় আরও ২৬ হাজার ২২৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় গণভবন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি জেলার পাঁচটি স্থানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের কাছে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। জায়গাগুলো হলো- লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলাধীন চরকলাকোপা আশ্রয়ন প্রকল্প, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ও মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প। লক্ষ্মীপুরে ৪৩৬টি, বাগেরহাটে ৫০০টি, ময়মনসিংহে ২৪টি, পঞ্চগড়ে ২ হাজার ৪৩৪টি ও মাগুরায় ৬৭৮টি ঘর জমিসহ হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ড. আহমদ কায়কাউস জানায়, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ২০২১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমারই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ১১:৫১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে দলমত ভিন্ন থাকতে পারে, তাতে কিছু আসে যায় না। দেশটা তো আমাদের। আর আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তার মানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমারই।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ভূমিহীন-গৃহহীন আরো ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ঘর হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বলব, তাদেরও দায়িত্ব আছে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে। অন্যান্য দলেরও যারা তাদেরকেও বলব, কারও কাছে যদি খবর থাকে যে বাংলাদেশের একটি মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন আছে- অবশ্যই আমাদের খবর দেবেন। দলমত নির্বিশেষে যেই গৃহহীন থাকবে- আমরা তাদেরকেই ঘর করে দেব, তাদের ঠিকানা দেব, তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেব।

এসময় পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় আরও ২৬ হাজার ২২৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় গণভবন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি জেলার পাঁচটি স্থানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের কাছে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। জায়গাগুলো হলো- লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলাধীন চরকলাকোপা আশ্রয়ন প্রকল্প, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ও মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প। লক্ষ্মীপুরে ৪৩৬টি, বাগেরহাটে ৫০০টি, ময়মনসিংহে ২৪টি, পঞ্চগড়ে ২ হাজার ৪৩৪টি ও মাগুরায় ৬৭৮টি ঘর জমিসহ হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ড. আহমদ কায়কাউস জানায়, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ২০২১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসএ