০১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের সব নীতি নির্ধারণ করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইএমএফ: আনু মুহাম্মদ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০৩৩৬ বার দেখা হয়েছে

শেখ হাসিনার আমলে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হতো, বর্তমানে ইউনূস আমলেও সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, “দেশের সব নীতি নির্ধারণ করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইএমএফ। তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আমাদের আমলাতন্ত্র আর ব্যবসায়ীরা।”

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউটে নাগরিক উদ্যোগের আয়োজনে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, “উন্নয়ন সহযোগীরা শেখ হাসিনার উন্নয়ন মডেলকে মিরাকল বা অলৌকিক বলেছিল। তারা আলাদা উন্নয়ন ধারা তৈরি করেছিল। এখন তারাই আবার নীতি নির্ধারণ করছে। উপদেষ্টারাও বিদেশিদের জন্য নীতি নির্ধারণে বেশি উৎসাহী।”

এছাড়া, তিনি গোপন চুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে জনগণকে জানাতে হবে। এটাই মুক্তবাজার অর্থনীতির নীতি। গোপন চুক্তি না করে এই সরকারের পরিবর্তনের দিশা তৈরির সুযোগ ছিল। তারা আগের গোপন চুক্তিগুলো প্রকাশ করতে পারত, যাতে পরের সরকারগুলো এমন চুক্তি করতে উৎসাহী না হয়। কিন্তু এসব বিষয় কিছু পরিবর্তন হয়নি, বিষয়টি আশা ভঙ্গের।”

আরও পড়ুন: কোনো ব্যক্তি বা দলের কথায় নির্বাচন বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “এলডিসি উত্তরণ করা বা বিলম্ব করার বিষয়ে এখনো সরকারের সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশ এখনো এ জন্য প্রস্তুত নয়, যদিও আমরা আগের পরিসংখ্যান বয়ে বেড়াচ্ছি। নতুন সরকার হয়তো উত্তরণ করবে। আমরা নিয়মের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি নিচ্ছি মাত্র।”

মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, “এফটিএ মানে ফোর্স ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বা জোরপূর্বক বাণিজ্য চুক্তি, এটা ছাড়া কোনো অর্থ হয় না।”

সেমিনারে এলডিসি উত্তরণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়, যেখানে দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষণ এবং মতামত প্রদান করা হয়।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

দেশের সব নীতি নির্ধারণ করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইএমএফ: আনু মুহাম্মদ

আপডেট: ০৫:৫১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

শেখ হাসিনার আমলে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হতো, বর্তমানে ইউনূস আমলেও সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, “দেশের সব নীতি নির্ধারণ করছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইএমএফ। তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আমাদের আমলাতন্ত্র আর ব্যবসায়ীরা।”

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউটে নাগরিক উদ্যোগের আয়োজনে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, “উন্নয়ন সহযোগীরা শেখ হাসিনার উন্নয়ন মডেলকে মিরাকল বা অলৌকিক বলেছিল। তারা আলাদা উন্নয়ন ধারা তৈরি করেছিল। এখন তারাই আবার নীতি নির্ধারণ করছে। উপদেষ্টারাও বিদেশিদের জন্য নীতি নির্ধারণে বেশি উৎসাহী।”

এছাড়া, তিনি গোপন চুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে জনগণকে জানাতে হবে। এটাই মুক্তবাজার অর্থনীতির নীতি। গোপন চুক্তি না করে এই সরকারের পরিবর্তনের দিশা তৈরির সুযোগ ছিল। তারা আগের গোপন চুক্তিগুলো প্রকাশ করতে পারত, যাতে পরের সরকারগুলো এমন চুক্তি করতে উৎসাহী না হয়। কিন্তু এসব বিষয় কিছু পরিবর্তন হয়নি, বিষয়টি আশা ভঙ্গের।”

আরও পড়ুন: কোনো ব্যক্তি বা দলের কথায় নির্বাচন বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “এলডিসি উত্তরণ করা বা বিলম্ব করার বিষয়ে এখনো সরকারের সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশ এখনো এ জন্য প্রস্তুত নয়, যদিও আমরা আগের পরিসংখ্যান বয়ে বেড়াচ্ছি। নতুন সরকার হয়তো উত্তরণ করবে। আমরা নিয়মের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি নিচ্ছি মাত্র।”

মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, “এফটিএ মানে ফোর্স ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বা জোরপূর্বক বাণিজ্য চুক্তি, এটা ছাড়া কোনো অর্থ হয় না।”

সেমিনারে এলডিসি উত্তরণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়, যেখানে দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষণ এবং মতামত প্রদান করা হয়।

ঢাকা/এসএইচ