০২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০৩৪৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাজস্থানে খাজা গরিবে নেওয়াজ দরগা শরিফ (আজমিরে সুফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগা) জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে চার দিনব্যাপী ভারত সফর সমাপ্ত করে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজই তিনি দেশের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) খাজা গরিবে নেওয়াজ দরগা শরিফে নফল নামাজ ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন। এ সময় তিনি ফাতিহা পাঠ, মোনাজাত ও আজমির শরিফ প্রদক্ষিণ করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে, ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লীর পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংর্বধনা দেয়া হয়। ভারত সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর মৌর্য্য হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্যুইটের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সাথে দেখা করেন।

৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের সফরে শেখ হাসিনা হায়দারাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

দুই প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের যৌথ উদ্যোগের বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।

পরে যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশি পণ্য তৃতীয় কোনও দেশে রফতানির জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয় ভারত। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।

তিনি ওই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।

৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। সূত্র: বাসস।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৭ সমঝোতা স্মারক সই

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে: প্রধানমন্ত্রী

আরও পড়ুন: ভারতের বড় বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা-মোদি

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:৫৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাজস্থানে খাজা গরিবে নেওয়াজ দরগা শরিফ (আজমিরে সুফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগা) জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে চার দিনব্যাপী ভারত সফর সমাপ্ত করে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজই তিনি দেশের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) খাজা গরিবে নেওয়াজ দরগা শরিফে নফল নামাজ ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন। এ সময় তিনি ফাতিহা পাঠ, মোনাজাত ও আজমির শরিফ প্রদক্ষিণ করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর আগে, ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লীর পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংর্বধনা দেয়া হয়। ভারত সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর মৌর্য্য হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্যুইটের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সাথে দেখা করেন।

৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের সফরে শেখ হাসিনা হায়দারাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

দুই প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের যৌথ উদ্যোগের বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এরমধ্যে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।

পরে যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশি পণ্য তৃতীয় কোনও দেশে রফতানির জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয় ভারত। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।

তিনি ওই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।

৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। সূত্র: বাসস।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৭ সমঝোতা স্মারক সই

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে: প্রধানমন্ত্রী

আরও পড়ুন: ভারতের বড় বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা-মোদি

ঢাকা/টিএ