১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

দেশে ভোটার বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ৪১৭১ বার দেখা হয়েছে

দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। হালনাগাদে মোট ভোটার যুক্ত এবং মৃত ভোটার কর্তনের পরও ভোটার বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) নির্বাচন ভবনের সামনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি জানান, ২০২২ সালের ২ মার্চ ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০। ২০২২ সালে হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫৯ জন। আর মৃত ভোটার কর্তন করা হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।

এবার ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। মোট ভোটার বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন।
ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে সিইসি, অন্য কমিশনারসহ ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোটার দিবস উপলক্ষে একটি র্যা লির আয়োজন করেন, যা নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে শুরু করে আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো নির্বাচন ভবনে এসে শেষ হয়। গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি।

হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কারও কোনও ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এ ক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় ছিল ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদ করা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো বৃহস্পতিবার।

এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগেরবারের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।

এ বছরের ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকার ভোটারসহ মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন ও নারী ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৮৩৭ জন।

আরও পড়ুন: আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন: সিইসি

পরে রিভাইজিং অথরিটি যাচাই-বাছাইয়ের পর অন্তর্ভুক্ত হয় ৯০ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬২ হাজার ৬১২ এবং নারী ২৭ হাজার ৬৭০ জন। বাংলাদেশে জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৭ কোটি; ভোটার সংখ্যা তার ৭০ শতাংশ।

ছবিসহ ভোটার তালিকা চালুর ১৫ বছরে ভোটার বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি। ছবিসহ ভোটার তালিকার পর নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮ কোটি ১০ লাখ; দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১১ লাখ, একাদশ সংসদে ১০ কোটি ৪১ লাখ। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় ১১ কোটি ৯০ লাখ ভোটার হতে যাচ্ছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

দেশে ভোটার বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার

আপডেট: ১২:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। হালনাগাদে মোট ভোটার যুক্ত এবং মৃত ভোটার কর্তনের পরও ভোটার বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) নির্বাচন ভবনের সামনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি জানান, ২০২২ সালের ২ মার্চ ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০। ২০২২ সালে হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫৯ জন। আর মৃত ভোটার কর্তন করা হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।

এবার ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। মোট ভোটার বেড়েছে ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন।
ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে সিইসি, অন্য কমিশনারসহ ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোটার দিবস উপলক্ষে একটি র্যা লির আয়োজন করেন, যা নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে শুরু করে আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো নির্বাচন ভবনে এসে শেষ হয়। গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি।

হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কারও কোনও ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এ ক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় ছিল ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদ করা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো বৃহস্পতিবার।

এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগেরবারের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০, ২০১২-২০১৩, ২০১৫-২০১৬, ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।

এ বছরের ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকার ভোটারসহ মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন ও নারী ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ৮৩৭ জন।

আরও পড়ুন: আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন: সিইসি

পরে রিভাইজিং অথরিটি যাচাই-বাছাইয়ের পর অন্তর্ভুক্ত হয় ৯০ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬২ হাজার ৬১২ এবং নারী ২৭ হাজার ৬৭০ জন। বাংলাদেশে জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৭ কোটি; ভোটার সংখ্যা তার ৭০ শতাংশ।

ছবিসহ ভোটার তালিকা চালুর ১৫ বছরে ভোটার বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি। ছবিসহ ভোটার তালিকার পর নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮ কোটি ১০ লাখ; দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১১ লাখ, একাদশ সংসদে ১০ কোটি ৪১ লাখ। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় ১১ কোটি ৯০ লাখ ভোটার হতে যাচ্ছে।

ঢাকা/এসএ