০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নগদের বোর্ড স্বতন্ত্রভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে: গভর্নর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৯১ বার দেখা হয়েছে

মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’–এর ব্যবস্থাপনা বোর্ড যে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত স্বতন্ত্রভাবে নিতে পারবে। আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এমন আশ্বাস দিয়েছেন। আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নগদের ব্যবস্থাপনা বোর্ড। এসময় গভর্নর এ আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, নগদের ম্যানেজমেন্ট বোর্ড আজকে গভর্নরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গভর্নর নগদের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডকে আশ্বস্ত করেছেন, বোর্ড স্বতন্ত্রভাবে যে সিদ্ধান্ত সমীচীন মনে করবে তাই গ্রহণ করবে।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’–এর ‘ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলগত ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ’ করার লক্ষ্যে একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বোর্ডে চেয়ারম্যান করা হয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদকে।

আরও পড়ুন: এস আলমের অর্থপাচারের অনুসন্ধানের তথ্য চাইলেন হাইকোর্ট

ব্যবস্থাপনা বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২১ আগস্ট নগদ পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ছয়জন কর্মকর্তাকে ‘সহায়ক কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা নগদের কার্যালয়ে গিয়ে পুরো প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বর্তমানে নগদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৯ সালে। গ্রাহক ধরতে প্রতিষ্ঠানটিকে একচেটিয়া সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়। এই সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় নিয়মনীতিকে পাশ কাটানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সব সরকারি ভাতা বিতরণের জন্য নগদকে বেছে নেয়। ফলে সরকারি ভাতাভোগীদের বাধ্য হয়ে নগদের গ্রাহক হতে হয়। নগদকে ডাক বিভাগের সেবা বলা হলেও বাস্তবে এতে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির কোনো মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।

এদিকে ‍সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, নগদের মালিকানা ও অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া নগদে যে পরিমাণ টাকা জমা আছে, নিয়মের বাইরে তার চেয়ে বেশি ডিজিটাল অর্থ তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় এবং কেউ প্রতারিত না হন, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

নগদের বোর্ড স্বতন্ত্রভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে: গভর্নর

আপডেট: ০৬:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’–এর ব্যবস্থাপনা বোর্ড যে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত স্বতন্ত্রভাবে নিতে পারবে। আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এমন আশ্বাস দিয়েছেন। আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নগদের ব্যবস্থাপনা বোর্ড। এসময় গভর্নর এ আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, নগদের ম্যানেজমেন্ট বোর্ড আজকে গভর্নরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গভর্নর নগদের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডকে আশ্বস্ত করেছেন, বোর্ড স্বতন্ত্রভাবে যে সিদ্ধান্ত সমীচীন মনে করবে তাই গ্রহণ করবে।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’–এর ‘ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলগত ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ’ করার লক্ষ্যে একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বোর্ডে চেয়ারম্যান করা হয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদকে।

আরও পড়ুন: এস আলমের অর্থপাচারের অনুসন্ধানের তথ্য চাইলেন হাইকোর্ট

ব্যবস্থাপনা বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২১ আগস্ট নগদ পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ছয়জন কর্মকর্তাকে ‘সহায়ক কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা নগদের কার্যালয়ে গিয়ে পুরো প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বর্তমানে নগদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৯ সালে। গ্রাহক ধরতে প্রতিষ্ঠানটিকে একচেটিয়া সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়। এই সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় নিয়মনীতিকে পাশ কাটানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সব সরকারি ভাতা বিতরণের জন্য নগদকে বেছে নেয়। ফলে সরকারি ভাতাভোগীদের বাধ্য হয়ে নগদের গ্রাহক হতে হয়। নগদকে ডাক বিভাগের সেবা বলা হলেও বাস্তবে এতে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির কোনো মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।

এদিকে ‍সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, নগদের মালিকানা ও অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া নগদে যে পরিমাণ টাকা জমা আছে, নিয়মের বাইরে তার চেয়ে বেশি ডিজিটাল অর্থ তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় এবং কেউ প্রতারিত না হন, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ