০১:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৪১:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪১২৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগদান শেষে সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডন ত্যাগ করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষে তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশে ইংল্যান্ডের রাজধানী ত্যাগ করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় লন্ডনের স্টানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশেকুন নবী চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর বাসস।

বিমানটি একইদিন স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

যুক্তরাজ্য ত্যাগের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে দ্বিতীয় রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেন।

যে ভবনে তার বিয়ে হয় এবং তিনি রানি নির্বাচিত হন, সেই ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে শেখ হাসিনা সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছেন।

২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ আয়োজিত সংবর্ধনায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।

এছাড়াও তিনি ইউএনএইচসিআর-এর ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘে নারী নেত্রীদের প্ল্যাটফর্মেও যোগ দিবেন।

দিনের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনাতেও অংশ নিবেন প্রধানমন্ত্রী।

২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

পরে তিনি ডব্লিউইএফ এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শোয়াব ক্লাউসের সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরসি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদফতরে পদ্মা সেতুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন এবং এরপর কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজা এবং রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর দিনটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর ওপর একটি প্রাতরাশ বৈঠকে অংশ নিবেন এবং আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন।

পরে তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।

আরও পড়ুন: সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে টিআইবি: খাদ্য মন্ত্রণালয়

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ

আপডেট: ০৯:৪১:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগদান শেষে সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডন ত্যাগ করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষে তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশে ইংল্যান্ডের রাজধানী ত্যাগ করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় লন্ডনের স্টানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশেকুন নবী চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর বাসস।

বিমানটি একইদিন স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

যুক্তরাজ্য ত্যাগের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে দ্বিতীয় রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেন।

যে ভবনে তার বিয়ে হয় এবং তিনি রানি নির্বাচিত হন, সেই ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে শেখ হাসিনা সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছেন।

২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ আয়োজিত সংবর্ধনায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।

এছাড়াও তিনি ইউএনএইচসিআর-এর ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘে নারী নেত্রীদের প্ল্যাটফর্মেও যোগ দিবেন।

দিনের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনাতেও অংশ নিবেন প্রধানমন্ত্রী।

২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

পরে তিনি ডব্লিউইএফ এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শোয়াব ক্লাউসের সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরসি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদফতরে পদ্মা সেতুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন এবং এরপর কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজা এবং রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর দিনটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এর ওপর একটি প্রাতরাশ বৈঠকে অংশ নিবেন এবং আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন।

পরে তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।

আরও পড়ুন: সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে টিআইবি: খাদ্য মন্ত্রণালয়

ঢাকা/এসএ