নির্বাচনবিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ চায় ইসি

- আপডেট: ১০:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১০৩৬৯ বার দেখা হয়েছে
দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ২৯টি রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে তফসিল প্রত্যাখ্যান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন দাবিতে লাগাতার অবরোধ ও হরতালসহ নানান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এমন পরিস্থিতিতে ভোটাররা যেন আতঙ্কিত না হন এবং নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়, সেজন্য নির্বাচনবিরোধী রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে কমিশন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যাতে সভা-সমাবেশ করতে না পারে, সরকারকে সেই পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য দু-এক দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। ওই চিঠিতে নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, এমন সভা-সমাবেশের অনুমোদন যাতে দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাবে কমিশন। কেননা কমিশন মনে করে নির্বাচনবিরোধী রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে ভোটারদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হতে পারে। এতে ভোটার উপস্থিতিও কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, বিএনপির ডাকা মানববন্ধন কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তথ্য পেয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া রোববার অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এছাড়া হেফাজতে ইসলাম ২৯ ডিসেম্বর সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এসব সভা-সমাবেশ হোক নির্বাচন কমিশন তা চায় না।
এ বিষয়ে এক নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা চাই নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকুক। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিক। ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তায় কমিশন যে কোনো পদক্ষেপ নিতেই পারে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনবিরোধী কর্মসূচির বিষয়ে ইসির শক্ত অবস্থানের বিষয়টি শনিবার ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের বক্তব্যেও উঠে আসে। তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। এখন এটি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যে কোনো কার্যক্রম নির্বাচন পরিপন্থি হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে প্রচলিত বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/এসএম