০২:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচনী হাওয়াঃ শেয়ার বাজারে ঢেউ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৪২৭ বার দেখা হয়েছে

মধ্য জুন-২০২৫ এ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস লন্ডন সফর শেষ করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। উক্ত সফরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের মধ্যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্বন্ধে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় নেতার মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনার সাফল্য হিসেবে সমগ্র দেশ এবং জাতি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ে একটি দিকনির্দেশনা পায়। সেটা হলো জাতীয় নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট ও পরিষ্কার রোড ম্যাপ। জাতি নিশ্চিত হয় যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দীর্ঘ ১৬ বছর পরে তারা একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাবে। এটি জাতির জন্য একটি উত্তরণের সংবাদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নির্বাচনের রোড ম্যাপ নিশ্চিত হবার পর হতে বাংলাদেশের ১৬ বছরের ধ্বংসপ্রাপ্ত শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এমনকি গত ২০২৫ জুন ক্লোজিং-এও মার্কেট বিগত বছরগুলোর মত ট্রাডিশনাল কারেকশনে যায়নি কিংবা সূচকেরও পতন হয়নি। বরং মধ্য জুন হতে বিগত প্রায় চার সপ্তাহ ধরে মার্কেট নির্বাচনী হাওয়ার টানে উজানী ঢেউ এর সাথে চলছে, সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪০০ এর উপরে।

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এমনকি শেয়ার বাজারের ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী প্রমাণ পাওয়া যায় যে, আওয়ামীলীগের সময়ে শেয়ার বাজারে যেমন লুটতরাজ হয় অপরপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের শাসনামলে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার বিনিয়োগবান্ধব, স্থিতিশীল এবং ঊর্ধ্বগামী হয়। ফলশ্রুতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিশ্চিত সংবাদের ফলে ১৬ বছর পরে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পতনের পরে আপামর জনগণের মতো বিনিয়োগকারীরাও একপ্রকার নিশ্চিত যে সামনে বিএনপি-ই সরকার গঠন করবে।

ফলে শেয়ারবাজারও বিনিয়োগবান্ধব হবে। এরই প্রেক্ষাপটে সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা মার্কেটে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। প্রতিদিন টার্নওভার ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে। এতে প্রতিীয়মান হয় যে নির্বাচনের নিশ্চিত সংবাদ এর ফলে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে শুধুমাত্র পুরাতন বিনিয়োগকারীরাই সক্রিয় হচ্ছেন না, সেই সাথে নতুন বিনিয়োগও শুরু হয়েছে। বাজার লুটতরাজকারী আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের অধিক কাল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় দশ মাস সময় ধরে বিনিয়োগকারীদের অনাস্থার ঘোর অমানিশার অন্ধকার অনেকটাই কাটতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত একটি বিষয় আমলে নেয়া উচিত- সেটা হল, গত মে মাসে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। বিষয়টি মোটেই নেতিবাচক নয় বরং ইতিবাচক। কেননা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এবং বোঝাতে চেয়েছিলেন যে শেয়ার বাজারের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের কেউই শেয়ারবাজার পরিচালনায় একদমই দক্ষ নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের দীর্ঘ নয়মাস ধরে শেয়ারবাজার ক্রমাগতভাবে পতনের ধারায় চালিত হবার কারণেই হয়তো মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এমন মন্তব্য করেছেন।

যাই হোক, মার্কেটের বর্তমান ধারা স্পষ্টতঃ নির্দেশ করে যে, প্রতিদিন ট্রেড টাইম-এর ভিতরে সূচকের ওঠা নামার ভিতরে দিনের মধ্যেই মার্কেট নিজেকে কারেকশন করছে। যার জন্য একটি বা দুটি দিন কারেকশনের অপেক্ষায় অপচয় করতে হচ্ছে না। একই সাথে প্রতিদিনই মার্কেট টার্নওভারও হচ্ছে আশানুরুপ।পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ১৫ বছর এবং তারপরে দীর্ঘ প্রায় দশ মাসের বেশি সময় ধরে বিপর্যস্ত শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা এখন আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। যদিও উল্লেখিত দীর্ঘ সময়ের একটানা লুটতরাজ, দায়িত্বহীনতা এবং অদক্ষতার কারণে তাদের অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও চিরতরে হারিয়ে গেছে, সেই সাথে হারিয়ে গেছে তাদের বহু কষ্টার্জিত মূলধন। অনেকেরই বিনিয়োগকৃত মূলধন দশ(১০%) ভাগেরও নিচে নেমে চলে এসেছে। তবুও তারা আশার আলো দেখছেন, বুনছেন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ নিয়ে নতুন স্বপ্ন।

আরও পড়ুন: ড্যাফোডিল কম্পিউটারসের ঋণকে ইক্যুইটিতে রূপান্তরের প্রস্তাব বাতিল

গত ০৯ ই জুলাই ২০২৫ তারিখে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশনা খবর আসার পর হতে মার্কেটের গতি আরো বেগবান হয়েছে। একই সাথে সূচক এবং টার্নওভার বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র নির্বাচনের খবরেই শেয়ারবাজার ঊর্ধ্ব গতি পেয়েছে এটা এ কারণেই পরিষ্কার যে, মার্কেট ভালো হতে হলে বা ঊর্ধ্বগতি পেতে হলে যে সকল নিয়ামক বা ইনডেক্সগুলো কাজ করে তার কোনটি গ্রহণ করা হয়নি। যেমনঃ

@ বাজারে তারল্য বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা গ্রহণ বা উৎসাহ প্রদান

@ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কে শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণে ব্যবস্থা গ্রহণ

@ তারল্য বৃদ্ধিতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সক্রিয় নীতিগত অংশগ্রহন

@ মিউচুয়াল ফান্ড (মেয়াদী ও বেমেয়াদী) সংক্রান্ত নীতিগত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ

@ মার্কেট পরিচালনায় দক্ষ ও বহুমাত্রিক মেধা সম্পন্ন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব

@ আইপিও সংক্রান্ত পরিষ্কার নীতি প্রণয়ন, ইত্যাদি ইত্যাদি

সুতরাং নির্বাচনের খবর ছাড়া অন্য কোন প্রকাশ্য কিংবা দৃশ্যমান পদক্ষেপ বা কারণ নেই, যা মার্কেটের গতি বৃদ্ধিতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করতে পারে। তাই এই মুহূর্তে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং পরিচালনা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত হবে নির্বাচনের আবহে অনুকূল এই পরিস্থিতিকে পুরোপুরি ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত মার্কেট রিপিয়ারে অন্ততপক্ষে সর্বনিম্নমাত্রার প্রয়োজনীয় দায়িত্বশীলতা এবং মনোযোগ প্রদর্শন করা। এর ব্যতিক্রম হলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের যে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে তা আবারো ভেঙে পড়বে এবং নির্বাচনের পূর্বে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো শুধু কঠিন নয়, অসম্ভব হয়ে পড়বে।

লেখাঃ এম.আই.টি এজে

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

নির্বাচনী হাওয়াঃ শেয়ার বাজারে ঢেউ

আপডেট: ০১:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

মধ্য জুন-২০২৫ এ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস লন্ডন সফর শেষ করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। উক্ত সফরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের মধ্যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্বন্ধে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় নেতার মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনার সাফল্য হিসেবে সমগ্র দেশ এবং জাতি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ে একটি দিকনির্দেশনা পায়। সেটা হলো জাতীয় নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট ও পরিষ্কার রোড ম্যাপ। জাতি নিশ্চিত হয় যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দীর্ঘ ১৬ বছর পরে তারা একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাবে। এটি জাতির জন্য একটি উত্তরণের সংবাদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নির্বাচনের রোড ম্যাপ নিশ্চিত হবার পর হতে বাংলাদেশের ১৬ বছরের ধ্বংসপ্রাপ্ত শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এমনকি গত ২০২৫ জুন ক্লোজিং-এও মার্কেট বিগত বছরগুলোর মত ট্রাডিশনাল কারেকশনে যায়নি কিংবা সূচকেরও পতন হয়নি। বরং মধ্য জুন হতে বিগত প্রায় চার সপ্তাহ ধরে মার্কেট নির্বাচনী হাওয়ার টানে উজানী ঢেউ এর সাথে চলছে, সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪০০ এর উপরে।

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এমনকি শেয়ার বাজারের ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী প্রমাণ পাওয়া যায় যে, আওয়ামীলীগের সময়ে শেয়ার বাজারে যেমন লুটতরাজ হয় অপরপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের শাসনামলে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার বিনিয়োগবান্ধব, স্থিতিশীল এবং ঊর্ধ্বগামী হয়। ফলশ্রুতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিশ্চিত সংবাদের ফলে ১৬ বছর পরে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পতনের পরে আপামর জনগণের মতো বিনিয়োগকারীরাও একপ্রকার নিশ্চিত যে সামনে বিএনপি-ই সরকার গঠন করবে।

ফলে শেয়ারবাজারও বিনিয়োগবান্ধব হবে। এরই প্রেক্ষাপটে সাইড লাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা মার্কেটে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। প্রতিদিন টার্নওভার ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে। এতে প্রতিীয়মান হয় যে নির্বাচনের নিশ্চিত সংবাদ এর ফলে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে শুধুমাত্র পুরাতন বিনিয়োগকারীরাই সক্রিয় হচ্ছেন না, সেই সাথে নতুন বিনিয়োগও শুরু হয়েছে। বাজার লুটতরাজকারী আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের অধিক কাল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় দশ মাস সময় ধরে বিনিয়োগকারীদের অনাস্থার ঘোর অমানিশার অন্ধকার অনেকটাই কাটতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত একটি বিষয় আমলে নেয়া উচিত- সেটা হল, গত মে মাসে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। বিষয়টি মোটেই নেতিবাচক নয় বরং ইতিবাচক। কেননা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এবং বোঝাতে চেয়েছিলেন যে শেয়ার বাজারের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের কেউই শেয়ারবাজার পরিচালনায় একদমই দক্ষ নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের দীর্ঘ নয়মাস ধরে শেয়ারবাজার ক্রমাগতভাবে পতনের ধারায় চালিত হবার কারণেই হয়তো মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এমন মন্তব্য করেছেন।

যাই হোক, মার্কেটের বর্তমান ধারা স্পষ্টতঃ নির্দেশ করে যে, প্রতিদিন ট্রেড টাইম-এর ভিতরে সূচকের ওঠা নামার ভিতরে দিনের মধ্যেই মার্কেট নিজেকে কারেকশন করছে। যার জন্য একটি বা দুটি দিন কারেকশনের অপেক্ষায় অপচয় করতে হচ্ছে না। একই সাথে প্রতিদিনই মার্কেট টার্নওভারও হচ্ছে আশানুরুপ।পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ১৫ বছর এবং তারপরে দীর্ঘ প্রায় দশ মাসের বেশি সময় ধরে বিপর্যস্ত শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা এখন আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। যদিও উল্লেখিত দীর্ঘ সময়ের একটানা লুটতরাজ, দায়িত্বহীনতা এবং অদক্ষতার কারণে তাদের অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও চিরতরে হারিয়ে গেছে, সেই সাথে হারিয়ে গেছে তাদের বহু কষ্টার্জিত মূলধন। অনেকেরই বিনিয়োগকৃত মূলধন দশ(১০%) ভাগেরও নিচে নেমে চলে এসেছে। তবুও তারা আশার আলো দেখছেন, বুনছেন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ নিয়ে নতুন স্বপ্ন।

আরও পড়ুন: ড্যাফোডিল কম্পিউটারসের ঋণকে ইক্যুইটিতে রূপান্তরের প্রস্তাব বাতিল

গত ০৯ ই জুলাই ২০২৫ তারিখে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশনা খবর আসার পর হতে মার্কেটের গতি আরো বেগবান হয়েছে। একই সাথে সূচক এবং টার্নওভার বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র নির্বাচনের খবরেই শেয়ারবাজার ঊর্ধ্ব গতি পেয়েছে এটা এ কারণেই পরিষ্কার যে, মার্কেট ভালো হতে হলে বা ঊর্ধ্বগতি পেতে হলে যে সকল নিয়ামক বা ইনডেক্সগুলো কাজ করে তার কোনটি গ্রহণ করা হয়নি। যেমনঃ

@ বাজারে তারল্য বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা গ্রহণ বা উৎসাহ প্রদান

@ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কে শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণে ব্যবস্থা গ্রহণ

@ তারল্য বৃদ্ধিতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সক্রিয় নীতিগত অংশগ্রহন

@ মিউচুয়াল ফান্ড (মেয়াদী ও বেমেয়াদী) সংক্রান্ত নীতিগত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ

@ মার্কেট পরিচালনায় দক্ষ ও বহুমাত্রিক মেধা সম্পন্ন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব

@ আইপিও সংক্রান্ত পরিষ্কার নীতি প্রণয়ন, ইত্যাদি ইত্যাদি

সুতরাং নির্বাচনের খবর ছাড়া অন্য কোন প্রকাশ্য কিংবা দৃশ্যমান পদক্ষেপ বা কারণ নেই, যা মার্কেটের গতি বৃদ্ধিতে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করতে পারে। তাই এই মুহূর্তে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং পরিচালনা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সকলের উচিত হবে নির্বাচনের আবহে অনুকূল এই পরিস্থিতিকে পুরোপুরি ব্যবহার করে ধ্বংসপ্রাপ্ত মার্কেট রিপিয়ারে অন্ততপক্ষে সর্বনিম্নমাত্রার প্রয়োজনীয় দায়িত্বশীলতা এবং মনোযোগ প্রদর্শন করা। এর ব্যতিক্রম হলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের যে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে তা আবারো ভেঙে পড়বে এবং নির্বাচনের পূর্বে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো শুধু কঠিন নয়, অসম্ভব হয়ে পড়বে।

লেখাঃ এম.আই.টি এজে

ঢাকা/এসএইচ