০৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে: তথ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৪২২৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সুতরাং, তারা চাইলেও আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে আসতে পারবে না। যেহেতু কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে, সেহেতু আশা করব তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনকে তারা হায়ার করে, কিন্তু হায়ারে খেলতে গিয়ে তিনি ভালো খেলেননি। এই বিশাল জোট নিয়ে তারা মাত্র সাতটি আসন পেয়েছিল। বিএনপির জনপ্রিয়তা এর থেকেই স্পষ্ট। আমি আশা করব, আগামী নির্বাচনে তারা যেন ৩০টির বেশি আসন পায়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সেটি অবাধ-নিরপেক্ষ এবং বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সে নির্বাচনে তারাই ৩০টির বেশি আসন পায়নি। বেগম জিয়ার ভবিষ্যদ্বাণী তার বেলাতেই কার্যকর হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মির্জা ফখরুলের ভবিষ্যদ্বাণীও যদি তার বেলাতেই সত্য হয় তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মির্জা ফখরুল যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এ ধরনের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।

আরও পড়ুন: যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ডিএনসিসিকে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক

আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনেই যেতে চায় না, সেখানে আসনের প্রসঙ্গ কীভাবে আসে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সুতরাং, তারা চাইলেও আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে আসতে পারবে না। যেহেতু কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে, সেহেতু আশা করব তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ড কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে চেয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি। এবারের নির্বাচনে তারা নবীন দলগুলোর ওপর ভর করেছে। রাজনৈতিক টোকাইদের ওপর ভর করেছে। সবগুলো দল মিলে সম্ভবত ৫২টি দল হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এই ৫২টি দলের নাম মুখস্ত বলতে পারলে আমি তাকে ধন্যবাদ দেবো।

তিনি বলেন, বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা জানে যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের জয়ের সম্ভাবনা নেই, সুতরাং তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি এখন জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি কূটনৈতিকদের কাছে যাচ্ছে। বিদেশি কূটনৈতিকদের কাছে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করা যায় না। মানুষের মন জয় করতে হলে, সমর্থন পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন এখন অনেকেই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, কেউ আবার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে স্বাক্ষরিত চিঠি নিয়ে বিভিন্ন দেশকে সাহায্য বন্ধ করতে অনুরোধ জানিয়েছে। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এগুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সময়ই বলে দেবে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৩:১২:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সুতরাং, তারা চাইলেও আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে আসতে পারবে না। যেহেতু কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে, সেহেতু আশা করব তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, এ নির্বাচনে হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনকে তারা হায়ার করে, কিন্তু হায়ারে খেলতে গিয়ে তিনি ভালো খেলেননি। এই বিশাল জোট নিয়ে তারা মাত্র সাতটি আসন পেয়েছিল। বিএনপির জনপ্রিয়তা এর থেকেই স্পষ্ট। আমি আশা করব, আগামী নির্বাচনে তারা যেন ৩০টির বেশি আসন পায়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সেটি অবাধ-নিরপেক্ষ এবং বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সে নির্বাচনে তারাই ৩০টির বেশি আসন পায়নি। বেগম জিয়ার ভবিষ্যদ্বাণী তার বেলাতেই কার্যকর হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মির্জা ফখরুলের ভবিষ্যদ্বাণীও যদি তার বেলাতেই সত্য হয় তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মির্জা ফখরুল যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এ ধরনের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।

আরও পড়ুন: যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ডিএনসিসিকে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক

আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনেই যেতে চায় না, সেখানে আসনের প্রসঙ্গ কীভাবে আসে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সুতরাং, তারা চাইলেও আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে আসতে পারবে না। যেহেতু কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে, সেহেতু আশা করব তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ড কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে চেয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি। এবারের নির্বাচনে তারা নবীন দলগুলোর ওপর ভর করেছে। রাজনৈতিক টোকাইদের ওপর ভর করেছে। সবগুলো দল মিলে সম্ভবত ৫২টি দল হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এই ৫২টি দলের নাম মুখস্ত বলতে পারলে আমি তাকে ধন্যবাদ দেবো।

তিনি বলেন, বিএনপি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা জানে যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের জয়ের সম্ভাবনা নেই, সুতরাং তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি এখন জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি কূটনৈতিকদের কাছে যাচ্ছে। বিদেশি কূটনৈতিকদের কাছে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করা যায় না। মানুষের মন জয় করতে হলে, সমর্থন পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন এখন অনেকেই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, কেউ আবার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে স্বাক্ষরিত চিঠি নিয়ে বিভিন্ন দেশকে সাহায্য বন্ধ করতে অনুরোধ জানিয়েছে। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এগুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সময়ই বলে দেবে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/টিএ