০১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ শ্রম সংস্থার চিঠি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৬৮ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে চিঠি লিখেছে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। চিঠিতে সম্প্রতি ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পাঁচটি সংস্থা হলো- ফেয়ার লেবার অ্যাসোসিয়েশন (এফএলএ), আমফোরি, এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভ, ফেয়ার উইয়ার এবং মনডিয়াল এফএনভি। এফএলএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সংস্থাগুলো আড়াই হাজার বৈশ্বিক ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা ও সরবরাহকারীকে প্রতিনিধিত্ব করে যারা বাংলাদেশের ২ হাজার ৯০০ কারখানা থেকে পোশাক কেনে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক শ্রম ও শিল্পমানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং মানবাধিকারকে মান্য করে এমন একটি আইনসম্মত ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার জন্য স্বাক্ষরকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠান শিল্পমালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিকে উৎসাহিত করছে।

পাঁচটি আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠান তাদের চিঠিতে বলেছে, ১২ হাজার ৫০০ টাকার প্রস্তাবিত মজুরি শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা ও জীবনধারণের জন্য একটি পরিমিত মান পূরণ করতে পারবে না। এটি সরকারের অঙ্গীকার করা একটি শোভন শ্রমমানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একটি আইনসম্মত ন্যূনতম মজুরি ও জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় গড় মজুরির পার্থক্য পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। মজুরির এই পার্থক্য দেশটির তৈরি পোশাকশিল্পকে আন্তর্জাতিক মান অর্জন ও ‘একটি দায়িত্বপূর্ণ উৎস দেশ’ হিসেবে বাংলাদেশের সক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন: ক্লিয়ারিং হাউজে চেক জমা দেওয়ার সময় বাড়লো

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময় অন্তর ন্যূনতম মজুরি সমন্বয় করার প্রতি তাদের সমর্থন জানায়। তারা একই সঙ্গে শ্রমিকদের সংগঠন, ধর্মঘট ও প্রতিবাদ করার অধিকারকে সম্মান করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়। যেসব শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তি দিয়ে সব অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

তৈরি পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের জন্য গঠিত বোর্ড সম্প্রতি শ্রমিকদের জন্য মালিকদের প্রস্তাব মেনে ১২ হাজার ৫০০ টাকার নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করে। বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন প্রস্তাবিত মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যায়। এই আন্দোলনের সময় সহিসংতায় চারজন শ্রমিক নিহত হন, আহত হন আরও অনেকে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ শ্রম সংস্থার চিঠি

আপডেট: ০৭:০৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে চিঠি লিখেছে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। চিঠিতে সম্প্রতি ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পাঁচটি সংস্থা হলো- ফেয়ার লেবার অ্যাসোসিয়েশন (এফএলএ), আমফোরি, এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভ, ফেয়ার উইয়ার এবং মনডিয়াল এফএনভি। এফএলএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সংস্থাগুলো আড়াই হাজার বৈশ্বিক ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা ও সরবরাহকারীকে প্রতিনিধিত্ব করে যারা বাংলাদেশের ২ হাজার ৯০০ কারখানা থেকে পোশাক কেনে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক শ্রম ও শিল্পমানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং মানবাধিকারকে মান্য করে এমন একটি আইনসম্মত ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার জন্য স্বাক্ষরকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠান শিল্পমালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিকে উৎসাহিত করছে।

পাঁচটি আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠান তাদের চিঠিতে বলেছে, ১২ হাজার ৫০০ টাকার প্রস্তাবিত মজুরি শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা ও জীবনধারণের জন্য একটি পরিমিত মান পূরণ করতে পারবে না। এটি সরকারের অঙ্গীকার করা একটি শোভন শ্রমমানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একটি আইনসম্মত ন্যূনতম মজুরি ও জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় গড় মজুরির পার্থক্য পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। মজুরির এই পার্থক্য দেশটির তৈরি পোশাকশিল্পকে আন্তর্জাতিক মান অর্জন ও ‘একটি দায়িত্বপূর্ণ উৎস দেশ’ হিসেবে বাংলাদেশের সক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন: ক্লিয়ারিং হাউজে চেক জমা দেওয়ার সময় বাড়লো

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময় অন্তর ন্যূনতম মজুরি সমন্বয় করার প্রতি তাদের সমর্থন জানায়। তারা একই সঙ্গে শ্রমিকদের সংগঠন, ধর্মঘট ও প্রতিবাদ করার অধিকারকে সম্মান করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়। যেসব শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মুক্তি দিয়ে সব অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

তৈরি পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের জন্য গঠিত বোর্ড সম্প্রতি শ্রমিকদের জন্য মালিকদের প্রস্তাব মেনে ১২ হাজার ৫০০ টাকার নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করে। বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন প্রস্তাবিত মজুরি কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যায়। এই আন্দোলনের সময় সহিসংতায় চারজন শ্রমিক নিহত হন, আহত হন আরও অনেকে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা/এসএ