১০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

পরিবর্তন আসছে সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৯০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: উদ্যোক্তা পরিচালকদের সমঝোতার ভিত্তিতে চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন আসছে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডে। গতকাল সকালে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তনের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

টানা ১৭ বছর সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন আলমগীর কবির। ২০০৪ সাল থেকে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। পেশাদার হিসাববিদ আলমগীর কবির পরিচালক হিসেবে ২০০২ সালে সাউথইস্ট ব্যাংকের পর্ষদে যুক্ত হয়েছিলেন। এর পর থেকে তার একক কর্তৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ব্যাংকটি।

তবে দীর্ঘদিন ধরে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকা আলমগীর কবিরের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব সম্প্রতি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আপত্তি উঠেছে একই ব্যক্তি বছরের পর বছর চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়েও। বিষয়টি নিয়ে আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ব্যাংকটির পাঁচজন উদ্যোক্তা পরিচালক। চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থার অংশ হিসেবে সম্প্রতি এ উদ্যোক্তারা ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বয়কট করেন। বিরোধের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সাউথইস্ট ব্যাংকের পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা তৈরি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এমএ কাশেমসহ অন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের সঙ্গে আলমগীর কবিরের সমঝোতা বৈঠক হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সমঝোতা বৈঠকে ব্যাংকের স্বার্থে দুই পক্ষই নমনীয়তা দেখিয়েছে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এমএ কাশেম ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদের নাম এসেছে। তবে এমএ কাশেমই পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে এমএ কাশেম বলেন, সাউথইস্ট ব্যাংক আমার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। এ ব্যাংকের নামটিও আমার দেয়া। ৫৫ বছর ধরে দেশ-বিদেশে সুনাম ও মর্যাদার সঙ্গে আমি ব্যবসা করেছি। বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃত্বেও ছিলাম। কিন্তু কখনই কোনো বিষয়ে দুর্নাম শুনতে হয়নি। রাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে কাদা ছোড়াছুড়ি আমাদের মানায় না। এজন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্যই বৈঠকে বসেছিলাম। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

এমএ কাশেম জানান, তিনজন পরিচালকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আইন অনুযায়ী এজিএমে পদত্যাগ করে নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তিনজনের পরিচালক পদে অনুমোদনের পর পর্ষদ সভা হবে। পর্ষদের সভায় ব্যাংকের মঙ্গলের স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আমরা সবাই সাউথইস্ট ব্যাংকের মঙ্গল চাই।

১৯৯৫ সালে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে সাউথইস্ট ব্যাংকের যাত্রা। ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শিল্পোদ্যোক্তা এমএ কাশেম। এরপর ২০০৪ সাল পর্যন্ত সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে অন্য উদ্যোক্তা পরিচালকরা নিয়মিতভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন শিল্পোদ্যোক্তা ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, রাগীব আলী এবং আজিম উদ্দিন আহমেদ। ২০০২ সালে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হন পেশাদার হিসাববিদ আলমগীর কবির। ২০০৪ সালে তিনি চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত টানা ১৭ বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের অভিযোগ হলো অনেক আগে থেকেই আলমগীর কবিরের একক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে তারা আপত্তি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনো পরামর্শই আমলে নিচ্ছিলেন না তিনি। ব্যাংকের প্রতিটি কাজে আলমগীর কবির হস্তক্ষেপ করছিলেন। এর মধ্যে অনেক কাজই তার এখতিয়ারের বাইরে পড়ে। কিন্তু ব্যাংকের স্বার্থে কখনই তারা এ বিষয়ে পর্ষদের বাইরে কোনো কথা বলেননি। আলমগীর কবির ক্রমাগতভাবে সাউথইস্ট ব্যাংককে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের চেষ্টা করছেন। এজন্যই এবার তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

যদিও সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির বলছেন, গত ১৭ বছরে তিনি ব্যাংকটিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্যাংকে রূপান্তর করেছেন। দীর্ঘ এ সময়ে কেউ কোনোদিন তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। এখন হঠাৎ করে কেন অন্য পরিচালকরা এ বিষয়ে কথা বলছেন, সে বিষয়ে তিনি জ্ঞাত নন।

আলমগীর কবির গত মঙ্গলবার বলেন, সাউথইস্ট ব্যাংকের পর্ষদ দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে সবচেয়ে ভালো পর্ষদ। ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থানও দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে পড়ে। মূলধন সক্ষমতা, মুনাফা পরিস্থিতি, আমানত ও বিনিয়োগের পরিমাণসহ বিভিন্ন সূচকে সাউথইস্ট ব্যাংকের অবস্থান বেশ শক্তিশালী। উদ্যোক্তা পরিচালকদের কোনো কথা থাকলে সেটি নিয়ে পর্ষদে আলোচনা হতে পারে। প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব পালন শেষেই আমি চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিচালকদের অনুরোধেই এতদিন দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়ে এখনো আমার কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। সূত্রঃ বনিকবার্তা 

শেয়ার করুন

x

পরিবর্তন আসছে সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায়

আপডেট: ০২:১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: উদ্যোক্তা পরিচালকদের সমঝোতার ভিত্তিতে চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন আসছে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডে। গতকাল সকালে ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তনের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

টানা ১৭ বছর সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন আলমগীর কবির। ২০০৪ সাল থেকে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। পেশাদার হিসাববিদ আলমগীর কবির পরিচালক হিসেবে ২০০২ সালে সাউথইস্ট ব্যাংকের পর্ষদে যুক্ত হয়েছিলেন। এর পর থেকে তার একক কর্তৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ব্যাংকটি।

তবে দীর্ঘদিন ধরে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে থাকা আলমগীর কবিরের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব সম্প্রতি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আপত্তি উঠেছে একই ব্যক্তি বছরের পর বছর চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়েও। বিষয়টি নিয়ে আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ব্যাংকটির পাঁচজন উদ্যোক্তা পরিচালক। চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থার অংশ হিসেবে সম্প্রতি এ উদ্যোক্তারা ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বয়কট করেন। বিরোধের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সাউথইস্ট ব্যাংকের পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা তৈরি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এমএ কাশেমসহ অন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের সঙ্গে আলমগীর কবিরের সমঝোতা বৈঠক হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সমঝোতা বৈঠকে ব্যাংকের স্বার্থে দুই পক্ষই নমনীয়তা দেখিয়েছে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এমএ কাশেম ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদের নাম এসেছে। তবে এমএ কাশেমই পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে এমএ কাশেম বলেন, সাউথইস্ট ব্যাংক আমার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। এ ব্যাংকের নামটিও আমার দেয়া। ৫৫ বছর ধরে দেশ-বিদেশে সুনাম ও মর্যাদার সঙ্গে আমি ব্যবসা করেছি। বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃত্বেও ছিলাম। কিন্তু কখনই কোনো বিষয়ে দুর্নাম শুনতে হয়নি। রাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে কাদা ছোড়াছুড়ি আমাদের মানায় না। এজন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্যই বৈঠকে বসেছিলাম। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

এমএ কাশেম জানান, তিনজন পরিচালকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আইন অনুযায়ী এজিএমে পদত্যাগ করে নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তিনজনের পরিচালক পদে অনুমোদনের পর পর্ষদ সভা হবে। পর্ষদের সভায় ব্যাংকের মঙ্গলের স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আমরা সবাই সাউথইস্ট ব্যাংকের মঙ্গল চাই।

১৯৯৫ সালে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে সাউথইস্ট ব্যাংকের যাত্রা। ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শিল্পোদ্যোক্তা এমএ কাশেম। এরপর ২০০৪ সাল পর্যন্ত সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে অন্য উদ্যোক্তা পরিচালকরা নিয়মিতভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন শিল্পোদ্যোক্তা ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, রাগীব আলী এবং আজিম উদ্দিন আহমেদ। ২০০২ সালে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত হন পেশাদার হিসাববিদ আলমগীর কবির। ২০০৪ সালে তিনি চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত টানা ১৭ বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের অভিযোগ হলো অনেক আগে থেকেই আলমগীর কবিরের একক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে তারা আপত্তি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনো পরামর্শই আমলে নিচ্ছিলেন না তিনি। ব্যাংকের প্রতিটি কাজে আলমগীর কবির হস্তক্ষেপ করছিলেন। এর মধ্যে অনেক কাজই তার এখতিয়ারের বাইরে পড়ে। কিন্তু ব্যাংকের স্বার্থে কখনই তারা এ বিষয়ে পর্ষদের বাইরে কোনো কথা বলেননি। আলমগীর কবির ক্রমাগতভাবে সাউথইস্ট ব্যাংককে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের চেষ্টা করছেন। এজন্যই এবার তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

যদিও সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির বলছেন, গত ১৭ বছরে তিনি ব্যাংকটিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্যাংকে রূপান্তর করেছেন। দীর্ঘ এ সময়ে কেউ কোনোদিন তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। এখন হঠাৎ করে কেন অন্য পরিচালকরা এ বিষয়ে কথা বলছেন, সে বিষয়ে তিনি জ্ঞাত নন।

আলমগীর কবির গত মঙ্গলবার বলেন, সাউথইস্ট ব্যাংকের পর্ষদ দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে সবচেয়ে ভালো পর্ষদ। ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থানও দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে পড়ে। মূলধন সক্ষমতা, মুনাফা পরিস্থিতি, আমানত ও বিনিয়োগের পরিমাণসহ বিভিন্ন সূচকে সাউথইস্ট ব্যাংকের অবস্থান বেশ শক্তিশালী। উদ্যোক্তা পরিচালকদের কোনো কথা থাকলে সেটি নিয়ে পর্ষদে আলোচনা হতে পারে। প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব পালন শেষেই আমি চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিচালকদের অনুরোধেই এতদিন দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে থাকা নিয়ে এখনো আমার কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। সূত্রঃ বনিকবার্তা