০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১০০

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৩৫৬ বার দেখা হয়েছে

পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)। এরপরই প্রাণহানির সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে যায়। শনিবার (১২ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বার্তাসংস্থাটি বলছে, পাঞ্জাব প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। গত ২৬ জুন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৯ জন মারা গেছেন এবং ১০৩ জন আহত হয়েছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের এবং আহত হয়েছেন ৫১ জন।

বেলুচিস্তানে শনিবার মারা গেছেন ৩ জন। সেখানে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের, আহত আরও ৪ জন। সিন্ধু প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, আহত আরও ৩৭। আজাদ জম্মু ও কাশ্মির এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের, আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।

পাকিস্তানে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে নিয়মিত বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এই সময়ে পাহাড়ি ও উত্তরের এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন: পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

জাতীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাকিস্তানে বৃষ্টির তীব্রতা ও সময়কাল আরও অপ্রত্যাশিত হয়ে উঠছে, ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তৈরি হচ্ছে নতুন চ্যালেঞ্জ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১০০

আপডেট: ০৪:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)। এরপরই প্রাণহানির সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে যায়। শনিবার (১২ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বার্তাসংস্থাটি বলছে, পাঞ্জাব প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। গত ২৬ জুন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩৯ জন মারা গেছেন এবং ১০৩ জন আহত হয়েছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের এবং আহত হয়েছেন ৫১ জন।

বেলুচিস্তানে শনিবার মারা গেছেন ৩ জন। সেখানে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের, আহত আরও ৪ জন। সিন্ধু প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, আহত আরও ৩৭। আজাদ জম্মু ও কাশ্মির এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের, আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।

পাকিস্তানে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে নিয়মিত বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এই সময়ে পাহাড়ি ও উত্তরের এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন: পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

জাতীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাকিস্তানে বৃষ্টির তীব্রতা ও সময়কাল আরও অপ্রত্যাশিত হয়ে উঠছে, ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তৈরি হচ্ছে নতুন চ্যালেঞ্জ।

ঢাকা/এসএইচ