০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারই এখন ইসলামী ব্যাংকের বড় চ্যালেঞ্জ’

মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান
  • আপডেট: ০৫:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৫৫৬ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। বিতর্কিত শিল্প গ্রুপ এস আলম ব্যাংকটি থেকে যে টাকা বিদেশে পাচার করেছে তা উদ্ধার করাই এখন  বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যে ইসলামী ব্যাংক টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এস আলম হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ইসলামী ব্যাংককে প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল গ্রুপটি। আমাদের কাছে থাকা গ্রুপটির মর্টগেজ ও  এর বাহিরে যেসব সম্পদ রয়েছে তা বিক্রি করে ইসলামী ব্যাংকের পাচারকৃত টাকা পূরণ করা হবে। কোর্টের অর্ডার নিয়ে তাদের সেসব সম্পদ বিক্রি করা হবে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যাংকের সম্পদ পুনরুদ্ধারে ইতিমধ্যে ৪ অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের অডিট রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে বিতর্কিত গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংকের কি পরিমাণ টাকা পাচার করেছে। গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংকে নিজেদের লোক বসিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এ কাজে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থমন্ত্রণালয়সহ সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র সহযোগিতা করেছে। এখন এসব রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে কোর্টের অর্ডার নিয়ে টাকাগুলো উদ্ধার করতে হবে। আশা করি আগামী এক বছরের মধ্যেই পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের তারল্য সংকট অনেকটা কেটে গেছে। গ্রাহকদের চেক এখন ডিসঅনার হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো অবস্থানে যাবে ব্যাংকটি। আর বর্তমানে এস আলমের পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের ইসলামি ব্যাংক থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার সুফল মিলবে না পুঁজিবাজারে!

২০১৭ সালের পর থেকে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৪৫টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এস আলম আনুমানিক ৮০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৩) ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত হিসাব বছরেও (২০২৪) ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিতে পারে। গত তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৬  টাকা। এর আগের বছরে একই সময়ে যা ছিল ২.৭২ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে ১.০৬ টাকা। অর্থাৎ ৩৯ শতাংশ আয় কমেছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৫ হাজার ৬৭৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। ডিসেম্বর হিসাব বছরের কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি; যার মধ্যে ৩০  নভেম্বর ২০২৪ হিসাব অনুযায়ী সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৭.১৯  শতাংশ। এছাড়াও উদ্যোক্তা পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিযোগকারীদের কাছে শেয়ার রয়েছে যথাক্রমে ০.১৮ শতাংশ, ৭৪.৭৪ শতাংশ ও ১৭.৮৯ শতাংশ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

‘পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারই এখন ইসলামী ব্যাংকের বড় চ্যালেঞ্জ’

আপডেট: ০৫:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। বিতর্কিত শিল্প গ্রুপ এস আলম ব্যাংকটি থেকে যে টাকা বিদেশে পাচার করেছে তা উদ্ধার করাই এখন  বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যে ইসলামী ব্যাংক টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এস আলম হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ইসলামী ব্যাংককে প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল গ্রুপটি। আমাদের কাছে থাকা গ্রুপটির মর্টগেজ ও  এর বাহিরে যেসব সম্পদ রয়েছে তা বিক্রি করে ইসলামী ব্যাংকের পাচারকৃত টাকা পূরণ করা হবে। কোর্টের অর্ডার নিয়ে তাদের সেসব সম্পদ বিক্রি করা হবে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যাংকের সম্পদ পুনরুদ্ধারে ইতিমধ্যে ৪ অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের অডিট রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে বিতর্কিত গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংকের কি পরিমাণ টাকা পাচার করেছে। গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংকে নিজেদের লোক বসিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এ কাজে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থমন্ত্রণালয়সহ সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র সহযোগিতা করেছে। এখন এসব রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে কোর্টের অর্ডার নিয়ে টাকাগুলো উদ্ধার করতে হবে। আশা করি আগামী এক বছরের মধ্যেই পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের তারল্য সংকট অনেকটা কেটে গেছে। গ্রাহকদের চেক এখন ডিসঅনার হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো অবস্থানে যাবে ব্যাংকটি। আর বর্তমানে এস আলমের পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের ইসলামি ব্যাংক থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার সুফল মিলবে না পুঁজিবাজারে!

২০১৭ সালের পর থেকে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৪৫টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এস আলম আনুমানিক ৮০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৩) ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত হিসাব বছরেও (২০২৪) ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিতে পারে। গত তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৬  টাকা। এর আগের বছরে একই সময়ে যা ছিল ২.৭২ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে ১.০৬ টাকা। অর্থাৎ ৩৯ শতাংশ আয় কমেছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৫ হাজার ৬৭৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। ডিসেম্বর হিসাব বছরের কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি; যার মধ্যে ৩০  নভেম্বর ২০২৪ হিসাব অনুযায়ী সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৭.১৯  শতাংশ। এছাড়াও উদ্যোক্তা পরিচালক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিযোগকারীদের কাছে শেয়ার রয়েছে যথাক্রমে ০.১৮ শতাংশ, ৭৪.৭৪ শতাংশ ও ১৭.৮৯ শতাংশ।

ঢাকা/টিএ