০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

পিপলস লিজিংঃ ১২২ ঋণখেলাপির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
  • / ১০৪৪০ বার দেখা হয়েছে

আদালতের তলব আদেশের পরও হাজির না হওয়ায় পিপলস লিজিংয়ের ১২২ ঋণখেলাপির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে লিখিত এই আদেশ প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

আদালতের তলবে গত ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৫৮ জন ঋণখেলাপি হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন। বাকিদের পর্যায়ক্রমে আদালতে হাজির হয়ে ঋণ ও ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়। কিন্তু ১২২ জন আদালতের আদেশের পরও হাজির হননি।

২১ জানুয়ারি অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম।

গত বছরের নভেম্বর মাসে কোম্পানি আদালত পিপলস লিজিংয়ের ঋণগ্রহীতাদের তালিকা দাখিল করতে বলেন বলে জানান আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। তিনি বলেন, এ অনুসারে ঋণগ্রহীতা ৫০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গত বছরের ২৩ নভেম্বর আদালতে দাখিল করা হয়। ওই ঋণগ্রহীতাদের তালিকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮০ জনকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালতে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে তাদের তলব করেন।

গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণসহ ২৮০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পিপলস লিজিংয়ের পাওনা ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার বেশি বলে জানান মেজবাহুর রহমান। তিনি বলেন, এ ঋণ ও ঋণ পরিশোধ বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ২৮০ ব্যক্তিকে ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

 

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

পিপলস লিজিংঃ ১২২ ঋণখেলাপির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট: ১১:৫২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১

আদালতের তলব আদেশের পরও হাজির না হওয়ায় পিপলস লিজিংয়ের ১২২ ঋণখেলাপির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে লিখিত এই আদেশ প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

আদালতের তলবে গত ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৫৮ জন ঋণখেলাপি হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন। বাকিদের পর্যায়ক্রমে আদালতে হাজির হয়ে ঋণ ও ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়। কিন্তু ১২২ জন আদালতের আদেশের পরও হাজির হননি।

২১ জানুয়ারি অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম।

গত বছরের নভেম্বর মাসে কোম্পানি আদালত পিপলস লিজিংয়ের ঋণগ্রহীতাদের তালিকা দাখিল করতে বলেন বলে জানান আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। তিনি বলেন, এ অনুসারে ঋণগ্রহীতা ৫০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গত বছরের ২৩ নভেম্বর আদালতে দাখিল করা হয়। ওই ঋণগ্রহীতাদের তালিকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮০ জনকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালতে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে তাদের তলব করেন।

গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণসহ ২৮০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পিপলস লিজিংয়ের পাওনা ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার বেশি বলে জানান মেজবাহুর রহমান। তিনি বলেন, এ ঋণ ও ঋণ পরিশোধ বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ২৮০ ব্যক্তিকে ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে বলা হয়।