০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪

পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের হালনাগাদ তথ্য জানতে বিএসইসির চিঠি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:৪০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৪১৪২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা বা এক্সপোজার এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলের বিনিয়োগ সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার পরে প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে কমিশনে জমা দেয়ার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, ‘তালিকাভুক্ত সব ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোকে (দুটি এক্সচেঞ্জের যে কোনো একটিতে তালিকাভুক্ত) পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত ফান্ডের বিনিয়োগ সম্পর্কে কমিশন এবং স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে তথ্য সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

চিঠিটি ব্যাংকগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এক্সচেঞ্জ দুটিকে। এতে বলা হয়, ‘উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে এই চিঠিটি ছড়িয়ে দেয়ার এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তথ্য প্রাপ্তির পরে প্রতি মাসের ৫ তারিখে বা তার আগে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে মহাধসের পর নানা সময় ব্যাংকে বিনিয়োগের সীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনা পদ্ধতি পাল্টানোর দাবি ছিল। কোনো শেয়ারের ক্রয়মূল্য বা বাজার মূল্যের মধ্যে যেটি বেশি, সেটি হিসাব করেই এই লিমিট গণনা করা হতো। এর ফলে শেয়ারের দর বেড়ে গেলে ব্যাংকগুলো তা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হতো। ফলে বাজারে শেয়ারের বিক্রয়চাপ তৈরি হতো।

এ কারণে শেয়ারের ক্রয়মূল্য ধরে এক্সপোজার লিমিট নির্ধারণের দাবি ছিল। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও এই সুপারিশ করে আসছিল। কিন্তু ফজলে কবির গভর্নর থাকাকালে এই বিষয়টি বিবেচনায় নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

আবদুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনোভাব পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এর মধ্যে গত ১৮ জুলাই এক্সপোজার লিমিটের হিসাব পরিবর্তনে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২ আগস্ট মন্ত্রণালয় থেকে ফিরতি চিঠিতে একটি কৌশলী মতামত দেয়া হয়।

এতে শেয়ারের ক্রয়মূল্যকেই বাজার মূল্য হিসেবে বিবেচনার মত দেয়া হয়। এর ফলে এক্সপোজার লিমিটের সংজ্ঞায় বাজারমূল্য থাকলেও কার্যত ক্রয়মূল্যতেই সেটি নির্ধারণের সুযোগ তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সেই মত মেনেই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশে বলা হয়, সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোনো ব্যাংক কোম্পানির একক ও সমন্বিত উভয় ভিত্তিতে শেয়ার ধারণের ঊর্ধ্বসীমা নিধারণে সংশ্লিষ্ট শেয়ার করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রে বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্রয়মূল্যকেই বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

তবে এক যুগের দাবি পূরণের পরও পুঁজিবাজারে যে হতাশা, তা কাটছে না। গত দুই মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক পাঁচ শ পয়েন্টের বেশি বাড়লেও সেটি বেড়েছে হাতে গোণা কয়েকটি কোম্পানির কারণে। পৌনে দুই শ কোম্পানির শেয়ার এখনও বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে। আর এই দরেও শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছে না বললেই চলে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছে, তার মধ্যে ২০০টি কোম্পানি মিলিয়ে কেবল ৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে। অন্যদিকে ১০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে করপোরেট গভর্ন্যান্স নিশ্চিতে বিএসইসি বদ্ধপরিকর: ড. মিজান

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের হালনাগাদ তথ্য জানতে বিএসইসির চিঠি

আপডেট: ০৮:৪০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমা বা এক্সপোজার এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলের বিনিয়োগ সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার পরে প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে কমিশনে জমা দেয়ার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়, ‘তালিকাভুক্ত সব ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোকে (দুটি এক্সচেঞ্জের যে কোনো একটিতে তালিকাভুক্ত) পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত ফান্ডের বিনিয়োগ সম্পর্কে কমিশন এবং স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে তথ্য সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

চিঠিটি ব্যাংকগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এক্সচেঞ্জ দুটিকে। এতে বলা হয়, ‘উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে এই চিঠিটি ছড়িয়ে দেয়ার এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তথ্য প্রাপ্তির পরে প্রতি মাসের ৫ তারিখে বা তার আগে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে মহাধসের পর নানা সময় ব্যাংকে বিনিয়োগের সীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনা পদ্ধতি পাল্টানোর দাবি ছিল। কোনো শেয়ারের ক্রয়মূল্য বা বাজার মূল্যের মধ্যে যেটি বেশি, সেটি হিসাব করেই এই লিমিট গণনা করা হতো। এর ফলে শেয়ারের দর বেড়ে গেলে ব্যাংকগুলো তা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হতো। ফলে বাজারে শেয়ারের বিক্রয়চাপ তৈরি হতো।

এ কারণে শেয়ারের ক্রয়মূল্য ধরে এক্সপোজার লিমিট নির্ধারণের দাবি ছিল। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও এই সুপারিশ করে আসছিল। কিন্তু ফজলে কবির গভর্নর থাকাকালে এই বিষয়টি বিবেচনায় নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

আবদুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনোভাব পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এর মধ্যে গত ১৮ জুলাই এক্সপোজার লিমিটের হিসাব পরিবর্তনে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২ আগস্ট মন্ত্রণালয় থেকে ফিরতি চিঠিতে একটি কৌশলী মতামত দেয়া হয়।

এতে শেয়ারের ক্রয়মূল্যকেই বাজার মূল্য হিসেবে বিবেচনার মত দেয়া হয়। এর ফলে এক্সপোজার লিমিটের সংজ্ঞায় বাজারমূল্য থাকলেও কার্যত ক্রয়মূল্যতেই সেটি নির্ধারণের সুযোগ তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সেই মত মেনেই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশে বলা হয়, সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোনো ব্যাংক কোম্পানির একক ও সমন্বিত উভয় ভিত্তিতে শেয়ার ধারণের ঊর্ধ্বসীমা নিধারণে সংশ্লিষ্ট শেয়ার করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রে বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্রয়মূল্যকেই বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

তবে এক যুগের দাবি পূরণের পরও পুঁজিবাজারে যে হতাশা, তা কাটছে না। গত দুই মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক পাঁচ শ পয়েন্টের বেশি বাড়লেও সেটি বেড়েছে হাতে গোণা কয়েকটি কোম্পানির কারণে। পৌনে দুই শ কোম্পানির শেয়ার এখনও বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে। আর এই দরেও শেয়ার কেনাবেচা হচ্ছে না বললেই চলে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছে, তার মধ্যে ২০০টি কোম্পানি মিলিয়ে কেবল ৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে। অন্যদিকে ১০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে করপোরেট গভর্ন্যান্স নিশ্চিতে বিএসইসি বদ্ধপরিকর: ড. মিজান

ঢাকা/টিএ