০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে আড়াই লাখ কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:১৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১৭৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১০ থেকে ১৩ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ট্রেজারি বন্ডে ভর করে বাজার মূলধন বেড়েছে আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর মূল্য সূচকের সাথে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর সূচক বাড়লেও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও একই চিত্রে লেনদেন  শেষ হয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায়। যেখানে সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ৬৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকায়। সে হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৪৮ শতাংশ। মূলত আলোচ্য সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজ বা ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়েছে। এসব বন্ডের বাজার মূলধন এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭৫ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে। সূচকটির বর্তমান অবস্থান ৬ হাজার ৪৯৪ পয়েন্টে। সূচকের পতনে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারের।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ১১৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬৬টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১১টির।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ৪ হাজার ৮৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৫ হাজার ২৭৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ৪৪৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি বা ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ২০৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ১ হাজার ৩১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৫০ শতাংশই ছিল খাতটির দখলে। ১৪ শতাংশ লেনদেন নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। এ খাতের দখলেও মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর অধিকাংশ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে, ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে গত সপ্তাহে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে পাট খাতে, ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ১১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ৭৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭১টির, কমেছে ১০৮টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৪টির।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে ছয় কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে আড়াই লাখ কোটি টাকা

আপডেট: ০১:১৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১০ থেকে ১৩ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ট্রেজারি বন্ডে ভর করে বাজার মূলধন বেড়েছে আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর মূল্য সূচকের সাথে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর সূচক বাড়লেও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও একই চিত্রে লেনদেন  শেষ হয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায়। যেখানে সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ৬৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকায়। সে হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৪৮ শতাংশ। মূলত আলোচ্য সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজ বা ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়েছে। এসব বন্ডের বাজার মূলধন এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭৫ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে। সূচকটির বর্তমান অবস্থান ৬ হাজার ৪৯৪ পয়েন্টে। সূচকের পতনে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারের।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ১১৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬৬টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১১টির।

ডিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ৪ হাজার ৮৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৫ হাজার ২৭৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ৪৪৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি বা ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ২০৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ১ হাজার ৩১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৫০ শতাংশই ছিল খাতটির দখলে। ১৪ শতাংশ লেনদেন নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। এ খাতের দখলেও মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর অধিকাংশ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে, ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে গত সপ্তাহে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে পাট খাতে, ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ১১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ৭৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭১টির, কমেছে ১০৮টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৪টির।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে ছয় কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

ঢাকা/টিএ