০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

পুঁজিবাজার বান্ধব বাজেট বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঁচ প্রস্তাব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • / ৪১৪৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়াতে পাঁচটি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বৈশ্বিক মন্দায়ও পুঁজিবাজারে ব্যাপক প্রভাব পরেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে আসন্ন বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব হবে বলে প্রত‌্যাশা করছে বিনিয়োগকারীরা।

আজ বুধবার (১ জুন) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক।

অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ: অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা শর্তে ১০ শতাংশ কর প্রদান করার শর্তে শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে, বাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে ও দেশীয় শিল্প উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারেরও প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

করপোরেট ট্যাক্স কমানো: বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২.৫ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ৩০ শতাংশ বলবৎ রয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার আরও ৭.৫ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার দাবি করছি। এতে নতুন ভালো ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। যার ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। 

ডিভিডেন্ডের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার: লভ্যাংশের ওপর থেকে দ্বৈত প্রত্যাহার করতে হবে। কোম্পানিগুলো ডিভিডেন্ডের ঘোষণার পূর্বে সরকারকে অগ্রীম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসাবে গণ্য করতে হবে। ভাল লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় তখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমবে।

নূন্যতম ৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড প্রদান: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফার নূন্যতম ৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড হিসাবে বিনিয়োগকারীদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। উপযুক্ত পরিমান ডিভিডেন্ড পাওয়ার প্রত্যাশায় পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে।

পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান: পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এতে বাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পুঁজিবাজারের দুঃসময়ে ওই প্রতিষ্ঠানসমূহ পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে সক্ষম হবে।

অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি জমা দিয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বয়িক পরিস্থিতির কারণে দেশের পুঁজিবাজারেও মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করতে লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পুঁজিবাজার পুনরায় তার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসছে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এ পরিস্থিতে আমরা মনে করি বিনিয়োগকারীদের স্বর্থে আসন্ন বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব হওয়া প্রয়োজন। তাই বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়াতে আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পাঁচটি বিষয় অন্তর্ভুক্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছি।’

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

পুঁজিবাজার বান্ধব বাজেট বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঁচ প্রস্তাব

আপডেট: ০৬:১৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়াতে পাঁচটি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বৈশ্বিক মন্দায়ও পুঁজিবাজারে ব্যাপক প্রভাব পরেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে আসন্ন বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব হবে বলে প্রত‌্যাশা করছে বিনিয়োগকারীরা।

আজ বুধবার (১ জুন) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক।

অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ: অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা শর্তে ১০ শতাংশ কর প্রদান করার শর্তে শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে, বাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে ও দেশীয় শিল্প উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারেরও প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

করপোরেট ট্যাক্স কমানো: বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২.৫ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ৩০ শতাংশ বলবৎ রয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার আরও ৭.৫ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার দাবি করছি। এতে নতুন ভালো ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। যার ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। 

ডিভিডেন্ডের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার: লভ্যাংশের ওপর থেকে দ্বৈত প্রত্যাহার করতে হবে। কোম্পানিগুলো ডিভিডেন্ডের ঘোষণার পূর্বে সরকারকে অগ্রীম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসাবে গণ্য করতে হবে। ভাল লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় তখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমবে।

নূন্যতম ৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড প্রদান: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফার নূন্যতম ৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড হিসাবে বিনিয়োগকারীদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। উপযুক্ত পরিমান ডিভিডেন্ড পাওয়ার প্রত্যাশায় পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে।

পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান: পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এতে বাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পুঁজিবাজারের দুঃসময়ে ওই প্রতিষ্ঠানসমূহ পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে সক্ষম হবে।

অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি জমা দিয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বয়িক পরিস্থিতির কারণে দেশের পুঁজিবাজারেও মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করতে লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পুঁজিবাজার পুনরায় তার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসছে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এ পরিস্থিতে আমরা মনে করি বিনিয়োগকারীদের স্বর্থে আসন্ন বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব হওয়া প্রয়োজন। তাই বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়াতে আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পাঁচটি বিষয় অন্তর্ভুক্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছি।’

ঢাকা/টিএ