০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

পুজিবাজারে মূলধন কমেছে ৩১ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২
  • / ৪১৪৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ছবি

বিজনেস জার্নাল  প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নানামুখী উদ্যোগে গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। মুলত নিয়ন্ত্রক সংস্থা একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহনে পুঁজিবাজার বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে  শেষ দুই কার্যদিবসে বড় উত্থান হলেও গত সপ্তাহে পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহের পতনে ৩১ হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা।

অর্থাৎ গেলো সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে তিন হাজার ৩২১ কোটি টাকা। আগের তিন সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ২৮ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। এতে চার সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমলো ৩১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।

অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়। বাজার মূলধন কমলেও গেলো সপ্তাহে ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৬টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এরপরও গেলো সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৮ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৪২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ১৫১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ ও তার আগের সপ্তাহে কমে ৯৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গেলো সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি কমেছে ৩৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫২ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৫৮ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে কমে ২৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৯১ শতাংশ।

প্রধান মূল্য সূচক ও ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাছাই করা সূচকের পাশাপাশি টানা চার সপ্তাহ কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গেলো সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ৬ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৩২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে কমে ৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৯৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৪৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৯৭২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় তিন হাজার ৭৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ২২৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬২ কোটি ৪১ লাখ ৭ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৪ কোটি ৩৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। ১৩৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ওরিয়ন ফার্মা, সোনালী পেপার, বিডিকম অনলাইন, ড্রাগন সোয়েটার, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

পুজিবাজারে মূলধন কমেছে ৩১ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ১২:৪২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল  প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নানামুখী উদ্যোগে গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। মুলত নিয়ন্ত্রক সংস্থা একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহনে পুঁজিবাজার বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে  শেষ দুই কার্যদিবসে বড় উত্থান হলেও গত সপ্তাহে পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহের পতনে ৩১ হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা।

অর্থাৎ গেলো সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে তিন হাজার ৩২১ কোটি টাকা। আগের তিন সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ২৮ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। এতে চার সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমলো ৩১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।

অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়। বাজার মূলধন কমলেও গেলো সপ্তাহে ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৬টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এরপরও গেলো সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৮ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৪২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ১৫১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ ও তার আগের সপ্তাহে কমে ৯৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গেলো সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি কমেছে ৩৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫২ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৫৮ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে কমে ২৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৯১ শতাংশ।

প্রধান মূল্য সূচক ও ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাছাই করা সূচকের পাশাপাশি টানা চার সপ্তাহ কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গেলো সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ৬ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৩২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে কমে ৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৯৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৪৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৯৭২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় তিন হাজার ৭৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ২২৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬২ কোটি ৪১ লাখ ৭ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬৪ কোটি ৩৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। ১৩৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ওরিয়ন ফার্মা, সোনালী পেপার, বিডিকম অনলাইন, ড্রাগন সোয়েটার, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

ঢাকা/টিএ