০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

পুনরুদ্ধার হয়নি শেয়ার বাজার, কমেছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৯২৫ বার দেখা হয়েছে

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের পুঁজিবাজারে সাময়িক ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেলেও তা স্থায়ী হয়নি। প্রথম চার কার্যদিবসে ডিএসইর সূচক ৭৮৬ পয়েন্ট বাড়লেও পরে বাজারে দরপতন দেখা দেয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সাত মাসে শেয়ারবাজার পুনরুদ্ধার না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে। বাজারের অনিয়ম ও কারসাজির কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা হতাশ। অনেকে তাদের বিনিয়োগ করা অর্থ হারিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এতে নতুন কমিশনের সাত মাসে ৫১ হাজার ৫৪৯টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাসে ৫১ হাজার ৫৪৯টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে। বর্তমানে শেয়ারশূন্য বিও হিসাব তিন লাখ ৬২ হাজার ৪৬৬টিতে পৌঁছেছে। গত দুই মাসেই ১৭ হাজার ৭৩২টি বিও হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে। ৫৪টি বিদেশি বিও হিসাব শেয়ারশূন্য হয়ে এখন নিষ্ক্রিয়।

আরও পড়ুন: অতিতের কোনো সরকার স্টক মার্কেটকে ধারণ করেনি: আমির খসরু

সিডিবিএলের তথ্য মতে, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ৪৬ হাজার ৬৩৩টিতে দাঁড়িয়েছে। যা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সময় ছিল ৪৭ হাজার ৮৩টি। গত সাত মাসে এই সংখ্যা সাড়ে ৪০০টি কমেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট শেয়ারশূন্য বিও হিসাব ছিল তিন লাখ ১০ হাজার ৯১৭টি।

হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন করে মোট ছয় হাজার ৫৮৫টি বিও ব্যবহার হচ্ছে না। ৬ আগস্ট শেয়ার আছে, এমন বিও হিসাব ছিল ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬৮টি। গত সাত মাসে শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় মোট ৩৮ হাজার ৪১৩টি হিসাব শেয়ারশূন্য হওয়ায় এখন শেয়ার আছে এমন হিসাব করে ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৫টিতে নেমেছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

পুনরুদ্ধার হয়নি শেয়ার বাজার, কমেছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা!

আপডেট: ০১:৪২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের পুঁজিবাজারে সাময়িক ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেলেও তা স্থায়ী হয়নি। প্রথম চার কার্যদিবসে ডিএসইর সূচক ৭৮৬ পয়েন্ট বাড়লেও পরে বাজারে দরপতন দেখা দেয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সাত মাসে শেয়ারবাজার পুনরুদ্ধার না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে। বাজারের অনিয়ম ও কারসাজির কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা হতাশ। অনেকে তাদের বিনিয়োগ করা অর্থ হারিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এতে নতুন কমিশনের সাত মাসে ৫১ হাজার ৫৪৯টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাসে ৫১ হাজার ৫৪৯টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে। বর্তমানে শেয়ারশূন্য বিও হিসাব তিন লাখ ৬২ হাজার ৪৬৬টিতে পৌঁছেছে। গত দুই মাসেই ১৭ হাজার ৭৩২টি বিও হিসাব শেয়ারশূন্য হয়েছে। ৫৪টি বিদেশি বিও হিসাব শেয়ারশূন্য হয়ে এখন নিষ্ক্রিয়।

আরও পড়ুন: অতিতের কোনো সরকার স্টক মার্কেটকে ধারণ করেনি: আমির খসরু

সিডিবিএলের তথ্য মতে, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ৪৬ হাজার ৬৩৩টিতে দাঁড়িয়েছে। যা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সময় ছিল ৪৭ হাজার ৮৩টি। গত সাত মাসে এই সংখ্যা সাড়ে ৪০০টি কমেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট শেয়ারশূন্য বিও হিসাব ছিল তিন লাখ ১০ হাজার ৯১৭টি।

হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন করে মোট ছয় হাজার ৫৮৫টি বিও ব্যবহার হচ্ছে না। ৬ আগস্ট শেয়ার আছে, এমন বিও হিসাব ছিল ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬৮টি। গত সাত মাসে শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় মোট ৩৮ হাজার ৪১৩টি হিসাব শেয়ারশূন্য হওয়ায় এখন শেয়ার আছে এমন হিসাব করে ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৫টিতে নেমেছে।

ঢাকা/এসএইচ