০৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

পোশাক শিল্পের রফতানিতে সুবাতাস

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বর্তমানে দেশের তৈরী পোশাক রফতানিতে সুবাতাস বইছে। করোনা মহামারির পর থেকেই  দেশে পোশাক শিল্প দিন দিন নিজেদের অতীতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পোশাক রফতানিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান বাজারগুলোতে এখন শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট এর তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক পণ্য আমদানি ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। এসময় পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৯৫৮ কোটি ডলারের পোশাক। এতে বৈশ্বিক পোশাক আমদানি বাড়ে ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

একই সময়ে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি বছরে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাতে আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ১৯ কোটি ডলার। এসময়ে অন্য দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়ার পণ্য রফতানি হয়েছে ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং মরক্কোর ২০ দশমিক ৫ শতাংশ।

এদিকে এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক পণ্যের রফতানি ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে ৫০১ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এখন পর্যন্ত ইইউর আমদানির পরিসংখ্যান ইইউ বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের ভালো অবস্থান নির্দেশ করে। কিন্তু সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে, খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি বিশ্ব বাজারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে যা তাদের ইনভেন্টরি স্টক বাড়িয়েছে। এই সমস্ত কারণ বিবেচনা করে, আগামী মাসগুলিতে ইইউ বাজারে আমাদের রফতানি হ্রাসের প্রবণতা দেখানো হতে পারে।

আরো পড়ুন: দায়িত্ব গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকের এমডি

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

পোশাক শিল্পের রফতানিতে সুবাতাস

আপডেট: ০৭:০০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বর্তমানে দেশের তৈরী পোশাক রফতানিতে সুবাতাস বইছে। করোনা মহামারির পর থেকেই  দেশে পোশাক শিল্প দিন দিন নিজেদের অতীতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পোশাক রফতানিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান বাজারগুলোতে এখন শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট এর তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক পণ্য আমদানি ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। এসময় পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৯৫৮ কোটি ডলারের পোশাক। এতে বৈশ্বিক পোশাক আমদানি বাড়ে ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

একই সময়ে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি বছরে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাতে আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ১৯ কোটি ডলার। এসময়ে অন্য দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়ার পণ্য রফতানি হয়েছে ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং মরক্কোর ২০ দশমিক ৫ শতাংশ।

এদিকে এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক পণ্যের রফতানি ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে ৫০১ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এখন পর্যন্ত ইইউর আমদানির পরিসংখ্যান ইইউ বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের ভালো অবস্থান নির্দেশ করে। কিন্তু সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে, খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি বিশ্ব বাজারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে যা তাদের ইনভেন্টরি স্টক বাড়িয়েছে। এই সমস্ত কারণ বিবেচনা করে, আগামী মাসগুলিতে ইইউ বাজারে আমাদের রফতানি হ্রাসের প্রবণতা দেখানো হতে পারে।

আরো পড়ুন: দায়িত্ব গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকের এমডি

ঢাকা/এসএ