০৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক করে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী 

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৭:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১০৪৫৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্যসেবার ওপর গুরুত্ব দেই। ফলে প্রাইভেট হাসাপাতাল গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্লিনিকের সমস্ত যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স বাতিল করে দিয়েছিলাম। পাশাপাশি মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যসেবা গড়েছিলাম। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এটি ভালো সাড়া ফেলেছিল।  কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে কমিউনিটি ক্লিনিক সব বন্ধ করে দেয়, ফলে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

আজ রোববার (১২ নভেম্বর) হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল লেপ্রোসি কনফারেন্সে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিশেষ নজর দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।  সেই কমিউনিটি ক্লিনিক আরও আধুনিক করে চালু করা হয়েছে।  কমবেশি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাও উন্নত করা হয়েছে।  এর ফলে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক আন্তর্জাতিক সম্মান পুরস্কারে ভূষিতও হয়। বিশেষ করে এমডিজি ও ভ্যাকসিনসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যাতে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে ওঠে, তার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স, বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ট্যাক্স একেবারে শূন্য করে দেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য তাদের উৎসাহিত করি। তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা করে দেই। যার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: সব বিভাগ থেকে কক্সবাজারে রেল সংযোগ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সারাটা জীবন আমার বাবা সংগ্রাম করেছিলেন। সে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারছি। তার সেই স্বপ্নপূরণই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, কুষ্ঠ রোগ নির্মূল  করা যে সম্ভব এই সম্মেলন মধ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞান অভিজ্ঞতা আমরা সঞ্চয় করব। আমরা যে কি কি কাজ করেছি সেগুলো প্রচারে সুযোগ পাচ্ছি। প্রথমবার যখন আমরা সরকারে আসি তখন স্বাস্থ্য সেবার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রমকে সমর্থন করে পাশে থাকার জন্য জাতিসংঘসহ সকল দেশকে ধন্যবাদ জানাই।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক করে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী 

আপডেট: ১১:২৭:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্যসেবার ওপর গুরুত্ব দেই। ফলে প্রাইভেট হাসাপাতাল গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্লিনিকের সমস্ত যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স বাতিল করে দিয়েছিলাম। পাশাপাশি মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যসেবা গড়েছিলাম। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এটি ভালো সাড়া ফেলেছিল।  কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে কমিউনিটি ক্লিনিক সব বন্ধ করে দেয়, ফলে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

আজ রোববার (১২ নভেম্বর) হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল লেপ্রোসি কনফারেন্সে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিশেষ নজর দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।  সেই কমিউনিটি ক্লিনিক আরও আধুনিক করে চালু করা হয়েছে।  কমবেশি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাও উন্নত করা হয়েছে।  এর ফলে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক আন্তর্জাতিক সম্মান পুরস্কারে ভূষিতও হয়। বিশেষ করে এমডিজি ও ভ্যাকসিনসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যাতে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে ওঠে, তার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স, বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ট্যাক্স একেবারে শূন্য করে দেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য তাদের উৎসাহিত করি। তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা করে দেই। যার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: সব বিভাগ থেকে কক্সবাজারে রেল সংযোগ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সারাটা জীবন আমার বাবা সংগ্রাম করেছিলেন। সে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারছি। তার সেই স্বপ্নপূরণই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, কুষ্ঠ রোগ নির্মূল  করা যে সম্ভব এই সম্মেলন মধ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞান অভিজ্ঞতা আমরা সঞ্চয় করব। আমরা যে কি কি কাজ করেছি সেগুলো প্রচারে সুযোগ পাচ্ছি। প্রথমবার যখন আমরা সরকারে আসি তখন স্বাস্থ্য সেবার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রমকে সমর্থন করে পাশে থাকার জন্য জাতিসংঘসহ সকল দেশকে ধন্যবাদ জানাই।

ঢাকা/এসএম