০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

প্রথম ডোজ নেওয়ার সুযোগ এখনও আছে: স্বাস্থ্য অধিদফতর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • / ৪১৪৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যারা করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা নেননি তারা রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে নিবন্ধন কিংবা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে টিকা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। বুধবার (২ মার্চ) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে জুম কনফারেন্সে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, সম্প্রতি সারা দেশে বিশেষ দিনে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে (গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ) পর্যন্ত সময়ে বিশেষ ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রায় ৩ কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম ডোজের ২ কোটি ৩২ লাখ, দ্বিতীয় ডোজের ১ কোটি ৭ লাখ জনকে এবং বুস্টার ডোজের ১০ লাখ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

এদিকে গণটিকা কর্মসূচির তৃতীয় ও শেষ দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রে কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কোনো জটিলতা ছাড়াই টিকা নিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। এ গণটিকা ক্যাম্পেইনে ব্যাপক সাড়া দেওয়ায় দেশে টিকাগ্রহীতা ছাড়িয়েছে প্রায় সোয়া ১২ কোটি।

বিশেষ এ মহাযজ্ঞে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়ায় প্রথম দিনে সব ডোজ মিলে ১ কোটি ২০ লাখ, আর দ্বিতীয় দিনে প্রয়োগ হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টিকা। আর দেশে এ পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছেন সোয়া ১২ কোটির বেশি মানুষ বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

ঢাকায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে গত বছর ২৭ জানুয়ারি এক ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে শুরু হয় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি। প্রথম দিনে পরীক্ষামূলকভাবে মোট ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি গণভাবে সারা দেশে মানুষকে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করা হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে।

দেশে ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ডোজের ১২ কোটি ৪৭ লাখ, ৮ কোটি ৪৮ লাখ এবং বুস্টার ডোজের টিকা পেয়েছেন ৩৯ লাখ মানুষ।

ঢাকা/এমআর

শেয়ার করুন

x

প্রথম ডোজ নেওয়ার সুযোগ এখনও আছে: স্বাস্থ্য অধিদফতর

আপডেট: ০৫:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যারা করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা নেননি তারা রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে নিবন্ধন কিংবা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে টিকা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। বুধবার (২ মার্চ) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে জুম কনফারেন্সে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, সম্প্রতি সারা দেশে বিশেষ দিনে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে (গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ) পর্যন্ত সময়ে বিশেষ ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রায় ৩ কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম ডোজের ২ কোটি ৩২ লাখ, দ্বিতীয় ডোজের ১ কোটি ৭ লাখ জনকে এবং বুস্টার ডোজের ১০ লাখ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

এদিকে গণটিকা কর্মসূচির তৃতীয় ও শেষ দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রে কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কোনো জটিলতা ছাড়াই টিকা নিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। এ গণটিকা ক্যাম্পেইনে ব্যাপক সাড়া দেওয়ায় দেশে টিকাগ্রহীতা ছাড়িয়েছে প্রায় সোয়া ১২ কোটি।

বিশেষ এ মহাযজ্ঞে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়ায় প্রথম দিনে সব ডোজ মিলে ১ কোটি ২০ লাখ, আর দ্বিতীয় দিনে প্রয়োগ হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টিকা। আর দেশে এ পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছেন সোয়া ১২ কোটির বেশি মানুষ বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

ঢাকায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে গত বছর ২৭ জানুয়ারি এক ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে শুরু হয় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি। প্রথম দিনে পরীক্ষামূলকভাবে মোট ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি গণভাবে সারা দেশে মানুষকে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করা হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে।

দেশে ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ডোজের ১২ কোটি ৪৭ লাখ, ৮ কোটি ৪৮ লাখ এবং বুস্টার ডোজের টিকা পেয়েছেন ৩৯ লাখ মানুষ।

ঢাকা/এমআর