০১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফুয়াং ফুডের পর্ষদ পুনর্গঠন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
  • / ১০৫৮৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অনিয়মে জর্জরিত ফুয়াং ফুড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। বর্তমান পরিচালকদের সাথে আরও পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

সূত্র মতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে দূর্বল কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করা শুরু করেছে বিএসইসি। এর আগে আরও কয়েকটি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফুয়াং ফুড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

নতুন পাঁচ পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফোশনালের প্রধান ফিন্যান্স কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইসরাত হোসাইন, সিঙ্গার বিডির সাবেক কোম্পানি সচিব ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) একাধিকবারের সভাপতি মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এফআইপিএম,এফসিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, এফসিএ, অধ্যাপক নিজামুল হক ভুইয়া এবং সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পাল এফসিএ।

বিএসইসি সূত্র মতে, কোম্পানিটি বিএসইসির অনেক নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। একই সাথে কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম চলছে। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির ২০১৯ সালের ২১ মে জারি করা নির্দেশনা বলা হয়েছে সম্মিলিতভাবে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিচালকদের কাছে মাত্র মোট শেয়ারের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ রয়েছে।

২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনা বলা হয়েছে অতিরিক্ত আরও দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে। এই নির্দেশনাটিও পরিপালন করেনি কোম্পানির পর্ষদ।

কোম্পানির নানা অনিয়ম বিএসইসির নজরে আসার পর একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইন লঙ্গন করে কোম্পানির সাথে সম্পৃক্ত এবং পরিবারের লোকদের সাথে অনেক কাজ করেছে। যার জন্য সঠিক ডিসক্লোজার দেওয়া হয়নি।

২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল কোম্পানি লুবাবা তাবাস্সুম নামে একজন পরিচালক নিয়োগ দেওয় হয়েছে। এই পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ আহমেদ চৌধুরী মেয়ে। তাকে প্রতি মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সম্মানি হিসেবে দেওয়া হয়।এর বাহিরে তাকে বিভিন্ন বোনাস, গাড়ি সুবিধা, মোবাইল বিল এবং ব্যবসায়িক টুরের নামে টাকা পরিশোধ করতো।

কোম্পানিটির উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কারখানা সম্প্রসারণের জন্য গাজীপুরের মণিপুর মৌজার বোকরানে ৯৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। রেজিস্ট্রেশনসহ জমি কিনতে কোম্পানিটির ব্যয় হয় তিন কোটি টাকা। এখানে নানাভাবে অনিয়ম করেছে কোম্পানির পরিচালকরা।

ডিএসইর সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে তালিভুক্তির পর থেকে কোম্পানিটি বোনাস লভ্যাংশই বেশি দিয়েছে। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিলো। এর আগে ২০১৯ অর্থ বছরের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ করে বোসান, ২০১৫ সালে ১৫ শতাঋশ বোনাস, ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ বোনাস, ২০১৩ সালে ১২ শতাংশ বোনাস, ২০১২ ও ২০১১ সালে ২০ শতাংশ করে বোনাস এবং ২০১০ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিলো।

ফু ওয়াং ফুড ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি বি ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৩৮ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ৭১ দশমিক ৭১ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

ফুয়াং ফুডের পর্ষদ পুনর্গঠন

আপডেট: ১০:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অনিয়মে জর্জরিত ফুয়াং ফুড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। বর্তমান পরিচালকদের সাথে আরও পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

সূত্র মতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে দূর্বল কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠন করা শুরু করেছে বিএসইসি। এর আগে আরও কয়েকটি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফুয়াং ফুড লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

নতুন পাঁচ পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফোশনালের প্রধান ফিন্যান্স কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইসরাত হোসাইন, সিঙ্গার বিডির সাবেক কোম্পানি সচিব ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) একাধিকবারের সভাপতি মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এফআইপিএম,এফসিএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, এফসিএ, অধ্যাপক নিজামুল হক ভুইয়া এবং সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পাল এফসিএ।

বিএসইসি সূত্র মতে, কোম্পানিটি বিএসইসির অনেক নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। একই সাথে কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম চলছে। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির ২০১৯ সালের ২১ মে জারি করা নির্দেশনা বলা হয়েছে সম্মিলিতভাবে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিচালকদের কাছে মাত্র মোট শেয়ারের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ রয়েছে।

২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনা বলা হয়েছে অতিরিক্ত আরও দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে। এই নির্দেশনাটিও পরিপালন করেনি কোম্পানির পর্ষদ।

কোম্পানির নানা অনিয়ম বিএসইসির নজরে আসার পর একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইন লঙ্গন করে কোম্পানির সাথে সম্পৃক্ত এবং পরিবারের লোকদের সাথে অনেক কাজ করেছে। যার জন্য সঠিক ডিসক্লোজার দেওয়া হয়নি।

২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল কোম্পানি লুবাবা তাবাস্সুম নামে একজন পরিচালক নিয়োগ দেওয় হয়েছে। এই পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ আহমেদ চৌধুরী মেয়ে। তাকে প্রতি মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সম্মানি হিসেবে দেওয়া হয়।এর বাহিরে তাকে বিভিন্ন বোনাস, গাড়ি সুবিধা, মোবাইল বিল এবং ব্যবসায়িক টুরের নামে টাকা পরিশোধ করতো।

কোম্পানিটির উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কারখানা সম্প্রসারণের জন্য গাজীপুরের মণিপুর মৌজার বোকরানে ৯৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। রেজিস্ট্রেশনসহ জমি কিনতে কোম্পানিটির ব্যয় হয় তিন কোটি টাকা। এখানে নানাভাবে অনিয়ম করেছে কোম্পানির পরিচালকরা।

ডিএসইর সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে তালিভুক্তির পর থেকে কোম্পানিটি বোনাস লভ্যাংশই বেশি দিয়েছে। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিলো। এর আগে ২০১৯ অর্থ বছরের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ করে বোসান, ২০১৫ সালে ১৫ শতাঋশ বোনাস, ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ বোনাস, ২০১৩ সালে ১২ শতাংশ বোনাস, ২০১২ ও ২০১১ সালে ২০ শতাংশ করে বোনাস এবং ২০১০ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিলো।

ফু ওয়াং ফুড ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি বি ক্যাটাগড়িতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোধিত মুলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। বাকী শেয়ারের মধ্যে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.৩৮ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ৭১ দশমিক ৭১ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: