ফ্লোর প্রাইসের শিকলে আটকে আছে ১৬৮ কোম্পানি

- আপডেট: ০১:৩০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
- / ১০৪৪১ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে ফ্লোর প্রাইসের কোম্পানির সংখ্যা। আজ রোববার (০২ অক্টোবর) ফ্লোর প্রাইসে ফিরে এসেছে আরও ৭ কোম্পানির শেয়ার। গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৯১ টির কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে ছিলো। তবে আজ নতুন করে আরও ৭টি কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে ফিরেছে।
আগের থেকে ফ্লোর প্রাইসে থাকা প্রতিষ্ঠান এবং বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসে ফেরা প্রতিষ্ঠান মিলে ফ্লোর প্রাইসের মোট প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়েছিল ১৯১টি। সেখান থেকে ৩০টি কোম্পানি ফ্লোর প্রাইস থেকে কিছুটা বেড়েছে। তবে আজকের ফ্লোর প্রাইসে ফেরা ৭টি নিয়ে ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৮টিতে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আজ নতুন করে ফ্লোর প্রাইসে আসা ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মাইডাস ফাইন্যান্স, সান লাইফ, মেঘনা লাইফ, বারাকা পতেঙ্গা, ইনটেক অনলাইন, লিগাসী ফুটওয়্যার এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন ডিএসই নির্ধারিত কোন কোম্পানির চূড়ান্ত ফ্লোর প্রাইস কতো!
বাজার সংশ্নিষ্টদের মতে, বর্তমান পুঁজিবাজারের লেনদেন ও সূচকের ওঠানামার সিংহভাগ গুটিকয়েক শেয়ারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। সূচক বাড়ছে। কিন্তু অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর কোনো লাভ হচ্ছে না। উল্টো বেশিরভাগ শেয়ার দর হারানোয় তারা আর্থিক ক্ষতিতে পড়ছেন।
আরও পড়ুনঃ ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে দেড় শতাধিক কোম্পানি
তাদের মতে, সূচক একদিকে আর বেশিরভাগ শেয়ারদর অন্যদিকে, যা সুষ্ঠু বাজারের চিত্র নয়। এ বাজারে অল্প কিছু মানুষ ব্যবসা করছেন। রাতারাতি কয়েকটি শেয়ারের দর হু-হু করে বাড়ছে। অথচ বেশিরভাগ শেয়ার দর হারাচ্ছে। সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনাবেচায় স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত লেনদেনের মাধ্যমে এমন দরের উত্থান ঘটছে- এমন কেউই মনে করছেন না। তারপরও এ নিয়ে কেউ প্রশ্ন করছেন না।
দায়িত্বশীলরা যদি মনে করেন, গুটিকয়েক ব্যক্তির লেনদেন ও তাঁদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের জন্য এ বাজার, তাহলে সিংহভাগ বিনিয়োগকারী এ বাজার থেকে ফের মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। এখন ফ্লোর প্রাইস দিয়ে দরপতন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে, যা কোনো টেকসই পদক্ষেপ নয়।
এর আগে এক সেমিনারে ফ্লোর প্রাইস ইস্যুতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, ফ্লোর প্রাইস দেওয়া বিষয়টি আমিও পছন্দ করি না। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এটি আমাদের দিতে হয়েছে। তা না হলে বাজারের দরপতন হয়ে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, করোনার মহামারি থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় দেশে প্রথমবার ২০২০ সালে ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার সীমা) দিয়েছি। এরপর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আশা করছি বাজার স্বাভাবিক হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইসে ফেরা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৪৬টি। যা প্রতিদিনেই বেড়ে চলছে। এমতাবস্থায় দেখার বিষয় হচ্ছে এই ফ্লোর প্রাইসে ফেরা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কততে যেয়ে থামে। যার বর্তমান অবস্থান ১৬৩টি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারের দরপতন ঠেকাতে সর্বনিম্ন বাজার মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপর শেয়ার দাম বাড়ায়-কমায় ফ্লোর প্রাইসের নিচে থাকা কোম্পানির সংখ্যাও ওঠানামা করতে থাকে।
আরও পড়ুন: মিডল্যান্ড ব্যাংকের আইপিও অনুমোদন
ঢাকা/এসএ
সর্বশেষ
- সিএমএসএফ ফান্ডের অগ্রগতি তদন্তে ইন্সপেকশন কমিটি গঠন
- খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ: প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইনের আওতায় আসছে সরকারি টিএ-ডিএ বিল
- মালাইকার চোখে ‘সেরা প্রেমিক’ অর্জুন!
- করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- একদিন পরই জামিন পেয়েছে ইমরান খান
- সবাই যায় পশ্চিমে, আমি যাই দক্ষিণে: সালমান খান
- সেপ্টেম্বরে সাত মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স
- ইকেওয়াইসি সেবা চালু করেছে এনআরবি ব্যাংক
- কেডিএস এক্সেসরিজের ডিভিডেন্ড ঘোষণা