০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণেও পুঁজিবাজারের ভূমিকা রয়েছে: শেখ শামসুদ্দিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১২৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সম্প্রতি দেশের পুঁজিবাজারের যে উন্নয়ন হয়েছে তাকে প্রাথমিক। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার ক্রমান্বয়ে আরও উন্নততর হবে। এখনো বাজার মূলধন মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২০ শতাংশের সমান হয়নি।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিন এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি দেশের বাজারে বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যার ওপর ভিত্তি করে ইতোমধ্যে মূল্য সূচক ও বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে বড় অংকের।

পুঁজিবাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দিকে ইঙ্গিত করেই বিএসইসির কমিশনার বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার ক্রমান্বয়ে আরও উন্নততর হবে। এখন এই পুঁজিবাজার যে ভূমিকা রেখেছে আমি মনে করি এটা প্রাথমিক। আমরা সবাই মিলে যদি কাজ করতে পারি, আমরা আরও অনেক ওপরে উঠতে পারব। আমরা এখনো বাজার মূলধন জিডিপির ২০ শতাংশ করতে পারিনি।

এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের মাঝেও পুঁজিবাজারের একটা ভূমিকা আছে। আমরা পুঁজিবাজার হিসেবে উৎপাদন, কর্মসংস্থান, অর্থায়ন এ কাজগুলোকে গভীরভাবে সহায়তা করি এবং সেই কাজটি করছি।

বঙ্গবন্ধুর কর্ম স্মরণ করে শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রশাসনিক পুনর্গঠন করেছিলেন। স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প সব ক্ষেত্র কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে জন্য তিনি পথনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই পথনির্দেশনা থেকে পথ চলার পরে আমরা আজ অনেক কিছু পেয়েছি। আরও অনেক কিছু পাওয়া বাকি আছে।

তিনি বলেন, যে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করবে, যে বাঙালি জাতির জনককে অস্বীকার করবে, সে তো বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করবে। আমাদের মাঝে এখনো অনেকে আছেন যারা বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলতে বা তাকে স্মরণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না। বঙ্গবন্ধু ছাড়া তো কোনো নাম রাজনৈতিক অঙ্গনে উচ্চারণ হতে পারে না।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে, শাস্তি হয়েছে। সেই শাস্তিতে আমাদের সন্তুষ্ট থাকলে হবে না। আমাদেরকে তার স্বপ্নের যে অংশগুলো বাকি রয়ে গেছে, সে অংশগুলোকে পূরণ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় আমাদেরকে অনেকগুলো ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা হচ্ছিও বটে।

এ সময় তিনি বলেন, আমি গতকাল দেখলাম আমাদের তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলছেন- আমাদের কোভিডের টিকার যে কর্মসূচি আছে, সেটির যে সুরক্ষা অ্যাপ আছে, সেটি না-কি কেউ হ্যাক করার চেষ্টা করেছে, যাতে আমাদের টিকার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমরা কিন্তু যথেষ্ট টিকা দিয়েছি, টিকার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করছি। আমাদের আরও অনেক বাকি। সরকারের প্রচেষ্টার কোনো অন্ত নেই, অর্থের কোনো অভাব নেই। কিন্তু এ ধরনের ষড়যন্ত্র আছে, যাতে আমরা এগুতে না পরি। কিন্তু আমাদের বন্ধ করে রাখা যাবে না, কোনোভাবেই বন্ধ করে রাখা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, পরের মুখাপেক্ষী আমাদের আর নেই। আমরা এখন স্বাস্থ্য সরঞ্জাম দিয়েছি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়াকে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক ঋণ দিয়েছি। এ ধরনের একটা দেশ তো আসমান থেকে আসেনি। এটা অনেক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এসেছে। অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসেছে। যে স্বপ্নগুলো আমরা দেখেছিলাম স্বাধীনতার আগেই।

ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন- ডিএসই’র পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, শালিক রিজভী, সালমা নাসরিন, হাবিবুল্লাহ বাহার, মো. সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, ডিবিএ’র সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার, সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম সিকদার, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণেও পুঁজিবাজারের ভূমিকা রয়েছে: শেখ শামসুদ্দিন

আপডেট: ১২:৩১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সম্প্রতি দেশের পুঁজিবাজারের যে উন্নয়ন হয়েছে তাকে প্রাথমিক। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার ক্রমান্বয়ে আরও উন্নততর হবে। এখনো বাজার মূলধন মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২০ শতাংশের সমান হয়নি।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিন এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি দেশের বাজারে বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যার ওপর ভিত্তি করে ইতোমধ্যে মূল্য সূচক ও বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে বড় অংকের।

পুঁজিবাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দিকে ইঙ্গিত করেই বিএসইসির কমিশনার বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার ক্রমান্বয়ে আরও উন্নততর হবে। এখন এই পুঁজিবাজার যে ভূমিকা রেখেছে আমি মনে করি এটা প্রাথমিক। আমরা সবাই মিলে যদি কাজ করতে পারি, আমরা আরও অনেক ওপরে উঠতে পারব। আমরা এখনো বাজার মূলধন জিডিপির ২০ শতাংশ করতে পারিনি।

এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের মাঝেও পুঁজিবাজারের একটা ভূমিকা আছে। আমরা পুঁজিবাজার হিসেবে উৎপাদন, কর্মসংস্থান, অর্থায়ন এ কাজগুলোকে গভীরভাবে সহায়তা করি এবং সেই কাজটি করছি।

বঙ্গবন্ধুর কর্ম স্মরণ করে শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রশাসনিক পুনর্গঠন করেছিলেন। স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প সব ক্ষেত্র কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে জন্য তিনি পথনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই পথনির্দেশনা থেকে পথ চলার পরে আমরা আজ অনেক কিছু পেয়েছি। আরও অনেক কিছু পাওয়া বাকি আছে।

তিনি বলেন, যে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করবে, যে বাঙালি জাতির জনককে অস্বীকার করবে, সে তো বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করবে। আমাদের মাঝে এখনো অনেকে আছেন যারা বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলতে বা তাকে স্মরণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না। বঙ্গবন্ধু ছাড়া তো কোনো নাম রাজনৈতিক অঙ্গনে উচ্চারণ হতে পারে না।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে, শাস্তি হয়েছে। সেই শাস্তিতে আমাদের সন্তুষ্ট থাকলে হবে না। আমাদেরকে তার স্বপ্নের যে অংশগুলো বাকি রয়ে গেছে, সে অংশগুলোকে পূরণ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় আমাদেরকে অনেকগুলো ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা হচ্ছিও বটে।

এ সময় তিনি বলেন, আমি গতকাল দেখলাম আমাদের তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলছেন- আমাদের কোভিডের টিকার যে কর্মসূচি আছে, সেটির যে সুরক্ষা অ্যাপ আছে, সেটি না-কি কেউ হ্যাক করার চেষ্টা করেছে, যাতে আমাদের টিকার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। আমরা কিন্তু যথেষ্ট টিকা দিয়েছি, টিকার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করছি। আমাদের আরও অনেক বাকি। সরকারের প্রচেষ্টার কোনো অন্ত নেই, অর্থের কোনো অভাব নেই। কিন্তু এ ধরনের ষড়যন্ত্র আছে, যাতে আমরা এগুতে না পরি। কিন্তু আমাদের বন্ধ করে রাখা যাবে না, কোনোভাবেই বন্ধ করে রাখা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, পরের মুখাপেক্ষী আমাদের আর নেই। আমরা এখন স্বাস্থ্য সরঞ্জাম দিয়েছি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়াকে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক ঋণ দিয়েছি। এ ধরনের একটা দেশ তো আসমান থেকে আসেনি। এটা অনেক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এসেছে। অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসেছে। যে স্বপ্নগুলো আমরা দেখেছিলাম স্বাধীনতার আগেই।

ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন- ডিএসই’র পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, শালিক রিজভী, সালমা নাসরিন, হাবিবুল্লাহ বাহার, মো. সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, ডিবিএ’র সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার, সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম সিকদার, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম প্রমুখ।

ঢাকা/এসআর