১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৪১৪৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের লক্ষ্যে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের স্থাপত্য কীর্তি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজয় স্মরণীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর প্রান্তে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ উদ্বোধন করেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করার জন্য, বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর ১৯৮৭ সালে মিরপুর সেনানিবাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে ঢাকার বিজয় স্মরণী রোডের পাশে বঙ্গবন্ধু প্ল্যানেটোরিয়ামের পশ্চিম পাশে স্থানান্তরিত করা হয়।

জাদুঘরটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর গৌরবময় অতীত, চ্যালেঞ্জ, অর্জন এবং মূল অগ্রগতি সম্পর্কে দেশের জনগণকে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে প্রামাণিক তথ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রদর্শিত তথ্য গবেষণার উদ্দেশ্যেও ব্যবহার হতে পারে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বগাঁথা এবং পাকিস্তানি বাহিনীর কাছ থেকে অর্জিত বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র এবং সামরিক যানবাহন এ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পশ্চিম পাশে ১০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। যেখানে স্বাধীনতার পূর্বাপর সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উপস্থাপন করা হয়েছে। জাদুঘরটিতে তিন বাহিনীর জন্য নির্ধারিত গ্যালারিসহ ছয়টি পৃথক অংশ রয়েছে এবং প্রতিটি বাহিনীর গ্যালারিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার।

আর্ট গ্যালারিসহ মাল্টিপারপাস এক্সিবিশন গ্যালারি, ব্রিফিং রুম, স্যুভেনির শপ, ফাস্ট এইড কর্নার, মুক্তমঞ্চ, থ্রিডি সিনেমা হল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, লাইব্রেরি, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, মুর্যাল, ক্যাফেটারিয়া, আলোকোজ্জ্বল ঝর্ণা ও বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত প্রান্তর মিলে এক চমৎকার দৃষ্টিনন্দন আবহ তৈরি করেছে এ জাদুঘর।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৩:০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের লক্ষ্যে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের স্থাপত্য কীর্তি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজয় স্মরণীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর প্রান্তে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ উদ্বোধন করেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করার জন্য, বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর ১৯৮৭ সালে মিরপুর সেনানিবাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে ঢাকার বিজয় স্মরণী রোডের পাশে বঙ্গবন্ধু প্ল্যানেটোরিয়ামের পশ্চিম পাশে স্থানান্তরিত করা হয়।

জাদুঘরটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর গৌরবময় অতীত, চ্যালেঞ্জ, অর্জন এবং মূল অগ্রগতি সম্পর্কে দেশের জনগণকে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে প্রামাণিক তথ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রদর্শিত তথ্য গবেষণার উদ্দেশ্যেও ব্যবহার হতে পারে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বগাঁথা এবং পাকিস্তানি বাহিনীর কাছ থেকে অর্জিত বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র এবং সামরিক যানবাহন এ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পশ্চিম পাশে ১০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। যেখানে স্বাধীনতার পূর্বাপর সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উপস্থাপন করা হয়েছে। জাদুঘরটিতে তিন বাহিনীর জন্য নির্ধারিত গ্যালারিসহ ছয়টি পৃথক অংশ রয়েছে এবং প্রতিটি বাহিনীর গ্যালারিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার।

আর্ট গ্যালারিসহ মাল্টিপারপাস এক্সিবিশন গ্যালারি, ব্রিফিং রুম, স্যুভেনির শপ, ফাস্ট এইড কর্নার, মুক্তমঞ্চ, থ্রিডি সিনেমা হল, মাল্টিপারপাস হল, সেমিনার হল, লাইব্রেরি, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, মুর্যাল, ক্যাফেটারিয়া, আলোকোজ্জ্বল ঝর্ণা ও বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত প্রান্তর মিলে এক চমৎকার দৃষ্টিনন্দন আবহ তৈরি করেছে এ জাদুঘর।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসআর