০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

বাংলাদেশসহ ৬৫টি দেশের জন্য নতুন বাণিজ্য সুবিধার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:১৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ৪১৬৫ বার দেখা হয়েছে

ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) নামের নতুন বাণিজ্য সুবিধা কার্যকর করেছে যুক্তরাজ্য। এর আওতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ কম দামে ও শুল্কমুক্তভাবে পণ্য রফতানির সুবিধা পাবে। ১৯ জুন এক বিবৃততি এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিবৃতি অনুযায়ী, ডিসিটিএস বিশ্বের অন্যতম উদার বাণিজ্য সুবিধা দেবে। যা বাণিজ্যের প্রসার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে তরান্বিত করবে। নতুন স্কিম যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদী ও পারস্পরিক অর্থনৈতিক সর্ম্পককে আরও শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ডিসিটিএসে আনা পরিবর্তনের সুবাদে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরেও বাংলাদেশ তৈরি পোশাকসহ ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করতে পারবে। যুক্তরাজ্য আগে ইইউ জিএসপি নীতি অনুসরণ করতো। এখন নতুন ব্যবস্থাটি চালু হবে যা জিএসপির চেয়েও উদার।

ঢাকা যুক্তরাজ্য হাইকমিশন জানিয়েছে, ডিসিটিএস স্কিমটি বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশুগুলোকে সমন্বিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার তৈরি করবে। এছাড়া সরবরাহ চেইনকেও শক্তিশালী করবে। ডিসিটিএস শুল্কমুক্ত মর্যাদা না হারিয়ে অন্যান্য দেশের উপাদান ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদনকে সহজ করছে। নতুন স্কিমের আওতায়, বাংলাদেশ বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে অংশগ্রহণে সক্ষম হবে। যার মাধ্যমে ৯৫টি দেশের কাঁচামাল ব্যবহার করে চূড়ান্ত পণ্য শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এজন্য নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ

যুক্তরাজ্য হাইকমিশন জানিয়েছে, ডিসিটিএস অবাধ ও ন্যায্য বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং সুশাসনকে উৎসাহিত করে। ডিসিটিএস’র অগ্রাধিকারগুলো ধরে রাখার ভিত্তি হলো মানব ও শ্রম অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার, দুর্নীতিবিরোধী, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশসহ প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া।

বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, ডিসিটিএস বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতাকে সমর্থন করবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সহনশীলতা বাড়ানোসহ বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে প্রবেশাধিকারের অনুমোদন দেবে। ভোক্তাদের জন্য বিকল্প এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের মাধ্যমে ডিসিটিএস যুক্তরাজ্যকেও উপকৃত করবে। এই ঘোষণাটি গভীর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি আধুনিক এবং পারস্পরিকভাবে লাভজনক অংশীদারিত্বের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে সমর্থন করে

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

বাংলাদেশসহ ৬৫টি দেশের জন্য নতুন বাণিজ্য সুবিধার ঘোষণা যুক্তরাজ্যের

আপডেট: ০১:১৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) নামের নতুন বাণিজ্য সুবিধা কার্যকর করেছে যুক্তরাজ্য। এর আওতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ কম দামে ও শুল্কমুক্তভাবে পণ্য রফতানির সুবিধা পাবে। ১৯ জুন এক বিবৃততি এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিবৃতি অনুযায়ী, ডিসিটিএস বিশ্বের অন্যতম উদার বাণিজ্য সুবিধা দেবে। যা বাণিজ্যের প্রসার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে তরান্বিত করবে। নতুন স্কিম যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘমেয়াদী ও পারস্পরিক অর্থনৈতিক সর্ম্পককে আরও শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ডিসিটিএসে আনা পরিবর্তনের সুবাদে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরেও বাংলাদেশ তৈরি পোশাকসহ ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করতে পারবে। যুক্তরাজ্য আগে ইইউ জিএসপি নীতি অনুসরণ করতো। এখন নতুন ব্যবস্থাটি চালু হবে যা জিএসপির চেয়েও উদার।

ঢাকা যুক্তরাজ্য হাইকমিশন জানিয়েছে, ডিসিটিএস স্কিমটি বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশুগুলোকে সমন্বিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার তৈরি করবে। এছাড়া সরবরাহ চেইনকেও শক্তিশালী করবে। ডিসিটিএস শুল্কমুক্ত মর্যাদা না হারিয়ে অন্যান্য দেশের উপাদান ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদনকে সহজ করছে। নতুন স্কিমের আওতায়, বাংলাদেশ বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে অংশগ্রহণে সক্ষম হবে। যার মাধ্যমে ৯৫টি দেশের কাঁচামাল ব্যবহার করে চূড়ান্ত পণ্য শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এজন্য নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ

যুক্তরাজ্য হাইকমিশন জানিয়েছে, ডিসিটিএস অবাধ ও ন্যায্য বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং সুশাসনকে উৎসাহিত করে। ডিসিটিএস’র অগ্রাধিকারগুলো ধরে রাখার ভিত্তি হলো মানব ও শ্রম অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার, দুর্নীতিবিরোধী, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশসহ প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া।

বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, ডিসিটিএস বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতাকে সমর্থন করবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সহনশীলতা বাড়ানোসহ বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে প্রবেশাধিকারের অনুমোদন দেবে। ভোক্তাদের জন্য বিকল্প এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের মাধ্যমে ডিসিটিএস যুক্তরাজ্যকেও উপকৃত করবে। এই ঘোষণাটি গভীর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি আধুনিক এবং পারস্পরিকভাবে লাভজনক অংশীদারিত্বের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে সমর্থন করে

ঢাকা/এসএ