০২:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

বাংলাদেশ-তুরস্কের সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস: রাষ্ট্রদূত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৪৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আগে ভুল-বোঝাবুঝি হলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস বলে মন্তব্য করেছেন ওই দেশের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে তুরস্কে মিলিটারি ক্যুর চেষ্টা করা হয়। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম নেতা, যিনি আমাদের প্রেসিডেন্টকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এটি বিশ্বাস না থাকলে হতো না।’

আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত মিট দি এম্বেসাডর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৬ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি কার্যকরের পর বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় তুরস্ক। বাংলাদেশও ওই সময়ে তার রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠায়। এই গোটা বিষয়টি ভুল-বোঝাবুঝি ছিল বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‌‘রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। তুরস্কে আমাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে।’

আরও পড়ুন: কোনও রাষ্ট্রদূতের নাক গলানো মেনে নিতে পারি না: কৃষিমন্ত্রী

ষাটের দশকে মিলিটারি ক্যুর পর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর ১০ বছর পর ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে ওই দলের তিনজনকে প্রতিহিংসাবশত মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু গণতন্ত্রে প্রতিহিংসার কোনও সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‌‘বন্ধুদেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আমরা চেয়েছিলাম এবং আমরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছিলাম। কোনোভাবেই আমরা অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে নাক গলাতে চাইনি। কিন্তু বিষয়টি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে আমরা রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিই। যখনই বিষয়টি কিছুটা ঠিক হয়ে আসে, তখন আমরা আমাদের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠাই।’

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বাংলাদেশ-তুরস্কের সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস: রাষ্ট্রদূত

আপডেট: ০১:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে আগে ভুল-বোঝাবুঝি হলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস বলে মন্তব্য করেছেন ওই দেশের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে তুরস্কে মিলিটারি ক্যুর চেষ্টা করা হয়। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম নেতা, যিনি আমাদের প্রেসিডেন্টকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এটি বিশ্বাস না থাকলে হতো না।’

আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত মিট দি এম্বেসাডর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৬ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি কার্যকরের পর বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় তুরস্ক। বাংলাদেশও ওই সময়ে তার রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠায়। এই গোটা বিষয়টি ভুল-বোঝাবুঝি ছিল বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‌‘রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। তুরস্কে আমাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে।’

আরও পড়ুন: কোনও রাষ্ট্রদূতের নাক গলানো মেনে নিতে পারি না: কৃষিমন্ত্রী

ষাটের দশকে মিলিটারি ক্যুর পর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর ১০ বছর পর ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে ওই দলের তিনজনকে প্রতিহিংসাবশত মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু গণতন্ত্রে প্রতিহিংসার কোনও সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‌‘বন্ধুদেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আমরা চেয়েছিলাম এবং আমরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছিলাম। কোনোভাবেই আমরা অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে নাক গলাতে চাইনি। কিন্তু বিষয়টি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে আমরা রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিই। যখনই বিষয়টি কিছুটা ঠিক হয়ে আসে, তখন আমরা আমাদের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠাই।’

ঢাকা/টিএ