১১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাজার মূলধন কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৪৫০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১৯-২৩ ফেব্রুয়ারী) দেশের প্রধান পুঁজিবাজর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে মূল্য সূচকের পতনের সাথে টাকার অংকে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৩৫.৩১ শতাংশ।ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬২ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৪৯ কোটি ১১ লাখ টাকা বা ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ১ হাজার ১৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ৪৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে কমার কারণ ২১ ফেব্রুয়ারি শেয়ারবাজার বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ

এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৩টির। আর ১৮২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স কমেছে ৪১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৫০ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ১০ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে ছিল ৩৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৮০লাখ টাকার।

সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৩৪ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১২টির দর বেড়েছে, ৯৪টির দর কমেছে এবং ১০১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বাজার মূলধন কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ১১:২৮:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (১৯-২৩ ফেব্রুয়ারী) দেশের প্রধান পুঁজিবাজর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে মূল্য সূচকের পতনের সাথে টাকার অংকে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৩৫.৩১ শতাংশ।ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬২ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসই’র বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৪৯ কোটি ১১ লাখ টাকা বা ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ১ হাজার ১৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ৪৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে কমার কারণ ২১ ফেব্রুয়ারি শেয়ারবাজার বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ

এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৩টির। আর ১৮২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স কমেছে ৪১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৫০ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ১০ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে ছিল ৩৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৮০লাখ টাকার।

সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৩৪ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১২টির দর বেড়েছে, ৯৪টির দর কমেছে এবং ১০১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/টিএ