বাজেটে অর্থপাচারকারীদের সুযোগ দিলেও সরকারি কর্তাদের ছাড় নেই

- আপডেট: ০৩:৫৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
- / ১০৩২৩ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করার সুযোগ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কর দিয়ে এসব অর্থ বৈধ হয়ে গেলে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না কর বিভাগসহ যেকোনো কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
গত ৯ জুন জাতীয় সংসদের পাচার করা অর্থের বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যেকোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যেকোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা হলে এর ওপর ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি দেশে আনা হলে ১০ শতাংশ ও দেশে পাঠানো (রেমিট্যান্স) নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে করারোপের প্রস্তাব করেন তিনি। এ সুবিধা ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রস্তাবিত বিধান কার্যকর হলে অর্থনীতির মূল স্রোতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে, আয়কর রাজস্ব আহরণ বাড়বে।
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে।
ঢাকা/টিএ