বাজেটে আয়কর সংক্রান্ত যেসব পরিবর্তন আসছে
- আপডেট: ০২:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
- / ১০৩০৫ বার দেখা হয়েছে
আগামী বাজেটে আয়কর সংক্রান্ত বেশকিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিছু ক্ষেত্রে কর হার কমানো হলেও ব্যক্তি শ্রেণির আয়করের সর্বোচ্চ হার বাড়ানো, শর্তযুক্ত সেবার সংখ্যা বাড়ানো, কিছু ক্ষেত্রে উৎসে কর বাড়ানোসহ আরও কিছু প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার (৪ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
গত অর্থবছরের মতো এবারও বার্ষিক সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত শূন্য শতাংশ কর আরোপ হবে। পরবর্তী ১ লাখ টাকা বৃদ্ধিতে ৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এরপরের ৪ লাখ বৃদ্ধিতে আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ কর ও ৫ লাখ টাকার ওপরে হলে ১৫ শতাংশ কর আরোপ হবে। এরপরের ৫ লাখ টাকার জন্য কর দিতে হবে ২০ শতাংশ। এগুলো অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে করা হলেও, এ অর্থবছরের ব্যক্তি করের ক্ষেত্রে আরও একটি ধাপ/স্ল্যাব যোগ করা হয়েছে। এবার ২০ লাখ টাকার বেশি আয়ের ক্ষেত্রে এ স্ল্যাব যুক্ত হবে। এক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হবে। অবশিষ্ট টাকার ওপর করের সর্বোচ্চ হার ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তাছাড়া শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করপোরেট কর কমতে পারে আড়াই শতাংশ। আগে এ কর ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ থাকলেও, এবার তা ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ৫ শতাংশ বাড়বে সমবায় সমিতির করপোরেট কর।
আরও পড়ুন: করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের
হাইটেক পার্ক, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ আরও কয়েকটি খাতে কর অব্যাহতির সুবিধা আর নাও থাকতে পারে। তবে আইটি খাতের কর অব্যাহতি সুবিধার সময়সীমা বাড়িয়ে, তালিকাভুক্ত সেবার সংখ্যা কমতে পারে। এসব তালিকাভুক্ত খাতের কর অব্যাহতি আরও ৩ বছর রাখার প্রস্তাব করেছে এনবিআর।
উৎসে কর ১০ শতাংশ বাড়তে পারে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকে জমানো টাকার মুনাফায়। তবে ঋণপত্রের মাধ্যমে ও ঠিকাদারি হিসেবে খাদ্যপণ্য সরবরাহে উৎসে কর কমে অর্ধেক হবে।
এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বাজারে স্বস্তি ফেরাতে পারে। ধান, চাল, গম, আলু, মাছ, মাংস, পিঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, মসুর, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভূট্টা, আটা, ময়দা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ফল ও ফুল আমদানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কর বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
এছাড়া শর্তযুক্ত সেবার সংখ্যা বাড়িয়েছে এনবিআর। বিয়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়াসহ তিন ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক হতে পারে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/এসএইচ