০৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে, তা সংশোধন করা হোক: আনু মুহাম্মদ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৫২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / ১০৩৩১ বার দেখা হয়েছে

আগামী ২২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাসের আগে বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে, তা সংশোধন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ শনিবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ‘বাজেট : দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ ‘ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন লেখক কল্লোল মোস্তফা, গবেষক মাহা মির্জা প্রমুখ।

আনু মুহাম্মদ বলেন, এবারের বাজেটে দেখা যাচ্ছে যে, সুদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। এটা যদিও বর্তমান সরকারের দোষ না। এটার জন্য আগের সরকারই দায়ী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন যেসব সংস্কার কমিটিগুলো রয়েছে, তারা যেসব সুপারিশ দিয়েছে, সেগুলো অল্প করেও যদি বাস্তবায়ন করা হতো, তাহলেও বাজেটে কিছুটা নতুনত্ব আসতো। সংস্কার কমিশনগুলো কি স্রেফ অলংকার হিসেবে রয়েছে নাকি, আমার জানা নেই। আমি চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হোক।

আরও পড়ুন: সুশাসন ও দক্ষতা বাড়াতে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার মেগা প্রকল্প থেকে বের হতে চায়, এটা তাদের প্রত্যাশা। কিন্তু যেসব মেগা প্রকল্প এখন চলমান রয়েছে, সেগুলোরও একটি পর্যালোচনা করতে হবে। উন্নয়ন নাম দিয়ে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা বিলাসী ও জনগণের জন্য বিপদজনক। যেমন— রূপপুর, মাতাবাড়ি, রামপাল, এসব প্রকল্প থেকে সরকারের বের হয়ে আসার কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। এখন থেকে বের হওয়ার জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিতে পারতো, তা হলো জাতীয় সক্ষমতার উন্নয়নের বিকাশ ঘটানো। আর এই বিকাশ ঘটানো হলে অনেক কম দামে আমরা গ্যাস পাবো, বিদ্যুৎ খাতে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি রয়েছে তা আর দিতে হবে না। পরিবেশ বিনাশী কোনো প্রকল্পেও যেতে হবে না সরকারের।

তিনি আরও বলেন, তবে দুঃখজনক যে, বর্তমান সরকার যে বাজেট উপস্থাপন করেছে, তাতে এই ধরনের পরিকল্পনা নেই। বাজেটে আগের ধারাবাহিকতাই দেখা যাচ্ছে, ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন শুধু শিরোনামে দেখা যায়, বাস্তবতায় তা হলো জনগণের জীবন বিপন্নকারী। আমরা চাই ২২ তারিখের আগে বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে, তা সংশোধন করা হোক।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে, তা সংশোধন করা হোক: আনু মুহাম্মদ

আপডেট: ০৪:৫২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

আগামী ২২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাসের আগে বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে, তা সংশোধন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ শনিবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ‘বাজেট : দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ ‘ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন লেখক কল্লোল মোস্তফা, গবেষক মাহা মির্জা প্রমুখ।

আনু মুহাম্মদ বলেন, এবারের বাজেটে দেখা যাচ্ছে যে, সুদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। এটা যদিও বর্তমান সরকারের দোষ না। এটার জন্য আগের সরকারই দায়ী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন যেসব সংস্কার কমিটিগুলো রয়েছে, তারা যেসব সুপারিশ দিয়েছে, সেগুলো অল্প করেও যদি বাস্তবায়ন করা হতো, তাহলেও বাজেটে কিছুটা নতুনত্ব আসতো। সংস্কার কমিশনগুলো কি স্রেফ অলংকার হিসেবে রয়েছে নাকি, আমার জানা নেই। আমি চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হোক।

আরও পড়ুন: সুশাসন ও দক্ষতা বাড়াতে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার মেগা প্রকল্প থেকে বের হতে চায়, এটা তাদের প্রত্যাশা। কিন্তু যেসব মেগা প্রকল্প এখন চলমান রয়েছে, সেগুলোরও একটি পর্যালোচনা করতে হবে। উন্নয়ন নাম দিয়ে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা বিলাসী ও জনগণের জন্য বিপদজনক। যেমন— রূপপুর, মাতাবাড়ি, রামপাল, এসব প্রকল্প থেকে সরকারের বের হয়ে আসার কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। এখন থেকে বের হওয়ার জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিতে পারতো, তা হলো জাতীয় সক্ষমতার উন্নয়নের বিকাশ ঘটানো। আর এই বিকাশ ঘটানো হলে অনেক কম দামে আমরা গ্যাস পাবো, বিদ্যুৎ খাতে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি রয়েছে তা আর দিতে হবে না। পরিবেশ বিনাশী কোনো প্রকল্পেও যেতে হবে না সরকারের।

তিনি আরও বলেন, তবে দুঃখজনক যে, বর্তমান সরকার যে বাজেট উপস্থাপন করেছে, তাতে এই ধরনের পরিকল্পনা নেই। বাজেটে আগের ধারাবাহিকতাই দেখা যাচ্ছে, ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন শুধু শিরোনামে দেখা যায়, বাস্তবতায় তা হলো জনগণের জীবন বিপন্নকারী। আমরা চাই ২২ তারিখের আগে বাজেটে যেসব ত্রুটি রয়েছে, তা সংশোধন করা হোক।

ঢাকা/এসএইচ