০৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

বারবার যেন দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে: আলী রীয়াজ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ১০৩২৪ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশে যে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা দীর্ঘ সংগ্রামের ফল। জুলাই গণঅভ্যুত্থান মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ যেমন প্রকাশ করেছে, তেমনি প্রত্যাশাকেও প্রকাশ করেছে। মানুষ চায় যেন বারবার বাংলাদেশে এমন ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, যেন আমরা এমন একটি রাষ্ট্র ও ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি, যেখানে সকলের সমান অধিকার থাকবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, যাতে করে বাংলাদেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে আগামী দিনগুলোতে পথরেখা তৈরি করতে পারি— এ দায়িত্ব কেবল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয়, কমিশন কেবল সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অগ্রসর হতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে প্রত্যোকটি রাজনৈতিক দল যেন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের পথে ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগ এক অর্থে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করা, ধারণ করা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে আকাঙ্ক্ষার পূরণ ঘটেছে, তার সুনির্দিষ্ট রূপ দেওয়া। সেই আশায় আমাদের ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।

তিনি বলেন, অনেকগুলো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য আছে, পাশাপাশি ভিন্নমত আছে। সেটা অস্বাভাবিক নয়। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র গঠন ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানে থাকবেন, আদর্শে থাকবেন, পরিকল্পনার কথা বলবেন। পাশাপাশি আমাদের প্রয়োজন একটি জাতীয় ঐক্যের। কারণ রাষ্ট্র পুনর্গঠন কেবল কোনো দলের বিষয় নয়, কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়, কোনো সংগঠনের বিষয় নয়, এটি জনগণের বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলো তার নেতৃত্বে আছে…সিভিল সোসাইটি তার অংশ হিসেবে আছে… অগ্রণী ভূমিকায় আছেন, নাগরিকেররা আছেন। আমরা আশা করি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তার অবস্থানে থেকে জনগণের কাছে যাবে। কিছু কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়ে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যেন অগ্রসর হতে পারি সে বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগ দেবেন।

আরও পড়ুন: আইজিপির সঙ্গে রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা যেমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি, তেমনি সময় দীর্ঘ নয়, আমাদের দ্রুততার সঙ্গে কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যেন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারি। সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে যেন সকলে মিলে ঐক্যের মাধ্যমে অগ্রসর হতে পারি। যে ঐক্যের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের শীর্ষ ব্যক্তি ও তার অনুসারীদের পলায়নে বাধ্য করেছ,  তাতে অটুট থাকি।

সংলাপ সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন— কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বারবার যেন দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে: আলী রীয়াজ

আপডেট: ১২:১৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশে যে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা দীর্ঘ সংগ্রামের ফল। জুলাই গণঅভ্যুত্থান মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ যেমন প্রকাশ করেছে, তেমনি প্রত্যাশাকেও প্রকাশ করেছে। মানুষ চায় যেন বারবার বাংলাদেশে এমন ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, যেন আমরা এমন একটি রাষ্ট্র ও ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি, যেখানে সকলের সমান অধিকার থাকবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, যাতে করে বাংলাদেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে আগামী দিনগুলোতে পথরেখা তৈরি করতে পারি— এ দায়িত্ব কেবল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয়, কমিশন কেবল সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অগ্রসর হতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে প্রত্যোকটি রাজনৈতিক দল যেন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের পথে ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগ এক অর্থে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করা, ধারণ করা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে আকাঙ্ক্ষার পূরণ ঘটেছে, তার সুনির্দিষ্ট রূপ দেওয়া। সেই আশায় আমাদের ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।

তিনি বলেন, অনেকগুলো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য আছে, পাশাপাশি ভিন্নমত আছে। সেটা অস্বাভাবিক নয়। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র গঠন ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানে থাকবেন, আদর্শে থাকবেন, পরিকল্পনার কথা বলবেন। পাশাপাশি আমাদের প্রয়োজন একটি জাতীয় ঐক্যের। কারণ রাষ্ট্র পুনর্গঠন কেবল কোনো দলের বিষয় নয়, কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়, কোনো সংগঠনের বিষয় নয়, এটি জনগণের বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলো তার নেতৃত্বে আছে…সিভিল সোসাইটি তার অংশ হিসেবে আছে… অগ্রণী ভূমিকায় আছেন, নাগরিকেররা আছেন। আমরা আশা করি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তার অবস্থানে থেকে জনগণের কাছে যাবে। কিছু কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়ে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যেন অগ্রসর হতে পারি সে বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগ দেবেন।

আরও পড়ুন: আইজিপির সঙ্গে রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা যেমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি, তেমনি সময় দীর্ঘ নয়, আমাদের দ্রুততার সঙ্গে কাজকে এগিয়ে নিতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যেন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারি। সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে যেন সকলে মিলে ঐক্যের মাধ্যমে অগ্রসর হতে পারি। যে ঐক্যের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের শীর্ষ ব্যক্তি ও তার অনুসারীদের পলায়নে বাধ্য করেছ,  তাতে অটুট থাকি।

সংলাপ সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন— কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।

ঢাকা/এসএইচ