০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

‘বিএসইসির ভিতরে-বাহিরে দূর্নীতিবাজদের শাস্তির আওতায় আনা হবে’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৪০০ বার দেখা হয়েছে

যারা পুঁজিবাজারে অনিয়ম করেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কেউ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, আমাদের এমন এক সিস্টেম তৈরি করতে হবে যেন কারসাজিকারীরা বাজারকে পূর্বের মতো পরিস্থিতিতে আবার ফেলতে না পারে। যা যা নিয়ে অভিযোগ আছে সবকয়টি বিষয় আমরা তদন্ত করে দেখবো।

আজ রোববার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএসইসি কমিশনার ড. এটিএম তারিকুজ্জামান এবং মো: মহসিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রথম কাজ হলো মার্কেটে গভার্নেন্স ফিরিয়ে আনা। গত ১৪ বছর ধরে চলা অনিয়মে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ভালোই সময় লাগবে। তবে আমরা যদি ফোকাসড থাকি, সবাই একসাথে কাজ করি, তবে আশা করা যায় আমরা এ সমস্যা তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠব।
খন্দকার রাশেদ বলেন, বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়াতে হলে বাজারের ট্রান্সপারেন্সি আরও বাড়াতে হবে। ঘোলা পানি বা ময়লা পানি দেখে কেউ আগ্রহ দেখায় না, কিন্ত পানি যখন স্বচ্ছ থাকে পরিষ্কার থাকে, তখন মানুষ সেই পানির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। ট্রান্সপারেন্সি বাড়লে বাজারে কারসাজি কারীরা আর কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না।

আরও পড়ুন: যে কারণে সোমবার বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজার

বাজার মধ্যস্থতাকারী কোম্পানি সম্পর্কে রাশেদ মাকসুদ বলেন, আমরা বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বেটার কর্পোরেট গভার্নেন্স নিয়ে ভাবছি। ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।

বিএসইসির সাবেক কমিশন এবং কারসাজির সাথে জড়িত বর্তমানে বিএসইসিতে চাকরিরত কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত শুরুই করবো বিএসইসি থেকে। কারসাজির সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। একে একে পুঁজিবাজারে অনিয়মের সাথে জড়িতদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

রাশেদ মাকসুদ আরও বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি মাত্র ৪ দিন হলো। ১৪ বছর ধরে তৈরি করা এই পরিস্থিতি ১৪ মাসে ঠিক হবে কিনা তাই ভাবছি। কিন্তু আমি যেদিন বিএসইসি কমিশনার হিসেবে জয়েন করেছি সেদিন এই পরিস্থিতি থেকে পুঁজিবাজারকে মুক্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েই এসেছি। কমিশনারদের নিয়ে টানা মিটিংয়ে একের পর এক সমাধান খুজে যাচ্ছি।

ফ্লোর প্রাইজ এবং সার্কিট ব্রেকার সম্পর্কে বিএসইসি কমিশনার বলেন, আমরা বাজারে থাকা সবকয়টি বর্ডার লাইন ঘাটিয়ে দেখবো। আমরা জানার চেষ্টা করবো এগুলো বাজারের জন্য ফ্রেন্ডলি কিনা। তারপর আমরা এ সংক্রান্ত সিধান্ত দিতে পারবো।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

‘বিএসইসির ভিতরে-বাহিরে দূর্নীতিবাজদের শাস্তির আওতায় আনা হবে’

আপডেট: ০৬:২২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

যারা পুঁজিবাজারে অনিয়ম করেছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কেউ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, আমাদের এমন এক সিস্টেম তৈরি করতে হবে যেন কারসাজিকারীরা বাজারকে পূর্বের মতো পরিস্থিতিতে আবার ফেলতে না পারে। যা যা নিয়ে অভিযোগ আছে সবকয়টি বিষয় আমরা তদন্ত করে দেখবো।

আজ রোববার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএসইসি কমিশনার ড. এটিএম তারিকুজ্জামান এবং মো: মহসিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রথম কাজ হলো মার্কেটে গভার্নেন্স ফিরিয়ে আনা। গত ১৪ বছর ধরে চলা অনিয়মে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ভালোই সময় লাগবে। তবে আমরা যদি ফোকাসড থাকি, সবাই একসাথে কাজ করি, তবে আশা করা যায় আমরা এ সমস্যা তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠব।
খন্দকার রাশেদ বলেন, বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়াতে হলে বাজারের ট্রান্সপারেন্সি আরও বাড়াতে হবে। ঘোলা পানি বা ময়লা পানি দেখে কেউ আগ্রহ দেখায় না, কিন্ত পানি যখন স্বচ্ছ থাকে পরিষ্কার থাকে, তখন মানুষ সেই পানির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। ট্রান্সপারেন্সি বাড়লে বাজারে কারসাজি কারীরা আর কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না।

আরও পড়ুন: যে কারণে সোমবার বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজার

বাজার মধ্যস্থতাকারী কোম্পানি সম্পর্কে রাশেদ মাকসুদ বলেন, আমরা বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বেটার কর্পোরেট গভার্নেন্স নিয়ে ভাবছি। ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে।

বিএসইসির সাবেক কমিশন এবং কারসাজির সাথে জড়িত বর্তমানে বিএসইসিতে চাকরিরত কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত শুরুই করবো বিএসইসি থেকে। কারসাজির সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। একে একে পুঁজিবাজারে অনিয়মের সাথে জড়িতদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

রাশেদ মাকসুদ আরও বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি মাত্র ৪ দিন হলো। ১৪ বছর ধরে তৈরি করা এই পরিস্থিতি ১৪ মাসে ঠিক হবে কিনা তাই ভাবছি। কিন্তু আমি যেদিন বিএসইসি কমিশনার হিসেবে জয়েন করেছি সেদিন এই পরিস্থিতি থেকে পুঁজিবাজারকে মুক্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েই এসেছি। কমিশনারদের নিয়ে টানা মিটিংয়ে একের পর এক সমাধান খুজে যাচ্ছি।

ফ্লোর প্রাইজ এবং সার্কিট ব্রেকার সম্পর্কে বিএসইসি কমিশনার বলেন, আমরা বাজারে থাকা সবকয়টি বর্ডার লাইন ঘাটিয়ে দেখবো। আমরা জানার চেষ্টা করবো এগুলো বাজারের জন্য ফ্রেন্ডলি কিনা। তারপর আমরা এ সংক্রান্ত সিধান্ত দিতে পারবো।

ঢাকা/এসএইচ