০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

‘বিএসসিসিএলে সরকার ব্যতীত অন্যদের শেয়ার ধারণ অপরিবর্তিত থাকবে’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৪১৬২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সম্প্রতি ইক্যুইটি বা মূলধন বাবদ নেয়া শেয়ার মানি ডিপোজিটের বিপরীতে সরকারের অনুকূলে শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। পাশাপাশি প্রণোদনা হিসেবে কর্মীদেরও শেয়ার দিতে চায় কোম্পানিটি। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মতামত জানতে চেয়েছিল বিএসসিসিএল। এর জবাবে কমিশন জানিয়েছে, সরকার ও কোম্পানিটির কর্মীদের অনুকূলে শেয়ার ইস্যু করার ক্ষেত্রে অন্য বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ অপরিবর্তিত থাকতে হবে।

রোববার বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি মতামত পাঠানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান রনি স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক বিএসসিসিএলকে দেয়া ১৬৬ কোটি টাকার ইকুইটি ফান্ড কমিশনের অনুমোদনক্রমে কোম্পানি সরকারের অনুকূলে ইস্যু করতে পারবে। ইস্যু করা এ শেয়ার থেকে সরকার বিএসসিসিএলের কর্মীদের প্রণোদনা হিসেবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার অভিহিত মূল্যে কিংবা যেকোনো মূল্যে হস্তান্তর করতে পারে। তবে এসব প্রক্রিয়ার কারণে সরকার ছাড়া অন্য বিনিয়োগকারীদের বর্তমান শেয়ার ধারণের পরিমাণ ২৬ দশমিক ১৬ শতাংশে স্থিতিশীল থাকবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটিকে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ এবং শেয়ার হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিধিবিধান অনুসারে কমিশনের অনুমোদনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকারের কাছ থেকে ইকুইটি হিসেবে তিন কিস্তিতে ১৪০ কোটি টাকা নেয়। এরপরের অর্থবছরে তিন কিস্তিতে নেয়া হয় আরো ২৬ কোটি টাকা। দুই অর্থবছরে কোম্পানিটি ইকুইটি হিসেবে সরকারের কাছ থেকে ১৬৬ কোটি টাকা গ্রহণ করে। এ শেয়ারমানি ডিপোজিটের বিপরীতে শেয়ার ইস্যু করবে বিএসসিসিএল। এর মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের নেয়া টাকার বিপরীতে ১ কোটি ২৭ লাখ ৪ হাজার ১৭৪টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। যার প্রতিটির অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা। অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসের বাজারমূল্য বিবেচনায় যার ইস্যু মূল্য হবে ১১০ টাকা ২০ পয়সা। একইভাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাপ্ত ২৬ কোটি টাকার বিপরীতে ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৬টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। যার অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা। ওই অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসের বাজারমূল্য বিবেচনায় যার ইস্যু মূল্য হবে ১২০ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারমানি ডিপোজিটের বিপরীতে সব মিলিয়ে সরকারের অনুকূলে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭টি শেয়ার ইস্যু করবে বিএসসিসিএল।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ৫১০। এর মধ্যে সরকারের কাছে রয়েছে ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক শূন্য ৫, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৭৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ঢাকা/এইচকে

শেয়ার করুন

x

‘বিএসসিসিএলে সরকার ব্যতীত অন্যদের শেয়ার ধারণ অপরিবর্তিত থাকবে’

আপডেট: ১২:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সম্প্রতি ইক্যুইটি বা মূলধন বাবদ নেয়া শেয়ার মানি ডিপোজিটের বিপরীতে সরকারের অনুকূলে শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। পাশাপাশি প্রণোদনা হিসেবে কর্মীদেরও শেয়ার দিতে চায় কোম্পানিটি। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মতামত জানতে চেয়েছিল বিএসসিসিএল। এর জবাবে কমিশন জানিয়েছে, সরকার ও কোম্পানিটির কর্মীদের অনুকূলে শেয়ার ইস্যু করার ক্ষেত্রে অন্য বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ অপরিবর্তিত থাকতে হবে।

রোববার বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি মতামত পাঠানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান রনি স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক বিএসসিসিএলকে দেয়া ১৬৬ কোটি টাকার ইকুইটি ফান্ড কমিশনের অনুমোদনক্রমে কোম্পানি সরকারের অনুকূলে ইস্যু করতে পারবে। ইস্যু করা এ শেয়ার থেকে সরকার বিএসসিসিএলের কর্মীদের প্রণোদনা হিসেবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার অভিহিত মূল্যে কিংবা যেকোনো মূল্যে হস্তান্তর করতে পারে। তবে এসব প্রক্রিয়ার কারণে সরকার ছাড়া অন্য বিনিয়োগকারীদের বর্তমান শেয়ার ধারণের পরিমাণ ২৬ দশমিক ১৬ শতাংশে স্থিতিশীল থাকবে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটিকে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ এবং শেয়ার হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিধিবিধান অনুসারে কমিশনের অনুমোদনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকারের কাছ থেকে ইকুইটি হিসেবে তিন কিস্তিতে ১৪০ কোটি টাকা নেয়। এরপরের অর্থবছরে তিন কিস্তিতে নেয়া হয় আরো ২৬ কোটি টাকা। দুই অর্থবছরে কোম্পানিটি ইকুইটি হিসেবে সরকারের কাছ থেকে ১৬৬ কোটি টাকা গ্রহণ করে। এ শেয়ারমানি ডিপোজিটের বিপরীতে শেয়ার ইস্যু করবে বিএসসিসিএল। এর মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের নেয়া টাকার বিপরীতে ১ কোটি ২৭ লাখ ৪ হাজার ১৭৪টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। যার প্রতিটির অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা। অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসের বাজারমূল্য বিবেচনায় যার ইস্যু মূল্য হবে ১১০ টাকা ২০ পয়সা। একইভাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাপ্ত ২৬ কোটি টাকার বিপরীতে ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৬টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। যার অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা। ওই অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসের বাজারমূল্য বিবেচনায় যার ইস্যু মূল্য হবে ১২০ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারমানি ডিপোজিটের বিপরীতে সব মিলিয়ে সরকারের অনুকূলে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭টি শেয়ার ইস্যু করবে বিএসসিসিএল।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ৫১০। এর মধ্যে সরকারের কাছে রয়েছে ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক শূন্য ৫, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৭৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ঢাকা/এইচকে