১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

বিকেলে চা–বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১৫৪ বার দেখা হয়েছে

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছে না সাধারণ শ্রমিকেরা। বাগানে বাগানে ঘুরে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরা। তবে শ্রমিক নেতারা কথা বলে এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নানা আশ্বাস দিয়েও চা–শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে পারেননি।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস গত বৃহস্পতিবার বলে, শনিবার বিকেল চারটায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চা–বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবে। গণভবনে এ সভা হবে।

এদিকে ধর্মঘটের ১৫তম দিনে আজও ‘চায়ের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সব চা-বাগানে কাজ বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন চা-বাগানে সভা–সমাবেশ করতে দেখা যায়। খেজুরিছড়া চা-বাগানে শিক্ষার্থীরা শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে দুই ঘণ্টা ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন শ্রমিকরা। তবে দাবি মেনে না নেওয়ায় শুক্রবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় চা-শ্রমিক ইউনিয়ন। সকালে মৌলভীবাজার লোহাউনি চা-বাগানে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি আদায়ের বিষয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। 

সমাবেশে আসা নারী চা-শ্রমিক সবিতা গড়াইত বলেন, ‘আমাদের দুঃখ কেউ বোঝে না। আমরা চার দিন কর্মবিরতি করেছি; কিন্তু কেউ আমাদের এসে আশ্বাস দিল না। আমরা এত কষ্ট করে কাজ করি, কিন্তু আমাদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া হয় না। চাল, ডাল, তেল- সবকিছুর দাম বেড়েছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ আছে। অসুখ হলে চিকিৎসা করাতে হয়। এর মধ্যে প্রতিদিনই জিনিসের দাম বাড়ছে, কিন্তু আমাদের মজুরি বাড়ছে না।’

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলছে। দেশের ১৬৬টি চা-বাগানে এ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। ৩০০ টাকা মজুরি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। দেশের বিভিন্ন বাগানে চা-শ্রমিকরা একত্রিত হয়েছেন। বাগানে বাগানে সমাবেশ হবে।

শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে দেশীয় চা-সংসদের সিলেট বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, ‘মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনাকালে এভাবে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করা বেআইনি। এখন চা-বাগানে ভরা মৌসুম। কাজ বন্ধ রাখলে সবার ক্ষতি। তারাও এ মৌসুমে কাজ করে বাড়তি টাকা পায়।’

আরো পড়ুন: আবারও ধর্মঘটে চা শ্রমিকরা

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

বিকেলে চা–বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

আপডেট: ০৯:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছে না সাধারণ শ্রমিকেরা। বাগানে বাগানে ঘুরে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরা। তবে শ্রমিক নেতারা কথা বলে এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নানা আশ্বাস দিয়েও চা–শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে পারেননি।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস গত বৃহস্পতিবার বলে, শনিবার বিকেল চারটায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চা–বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবে। গণভবনে এ সভা হবে।

এদিকে ধর্মঘটের ১৫তম দিনে আজও ‘চায়ের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সব চা-বাগানে কাজ বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন চা-বাগানে সভা–সমাবেশ করতে দেখা যায়। খেজুরিছড়া চা-বাগানে শিক্ষার্থীরা শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে দুই ঘণ্টা ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন শ্রমিকরা। তবে দাবি মেনে না নেওয়ায় শুক্রবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় চা-শ্রমিক ইউনিয়ন। সকালে মৌলভীবাজার লোহাউনি চা-বাগানে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি আদায়ের বিষয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। 

সমাবেশে আসা নারী চা-শ্রমিক সবিতা গড়াইত বলেন, ‘আমাদের দুঃখ কেউ বোঝে না। আমরা চার দিন কর্মবিরতি করেছি; কিন্তু কেউ আমাদের এসে আশ্বাস দিল না। আমরা এত কষ্ট করে কাজ করি, কিন্তু আমাদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া হয় না। চাল, ডাল, তেল- সবকিছুর দাম বেড়েছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ আছে। অসুখ হলে চিকিৎসা করাতে হয়। এর মধ্যে প্রতিদিনই জিনিসের দাম বাড়ছে, কিন্তু আমাদের মজুরি বাড়ছে না।’

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলছে। দেশের ১৬৬টি চা-বাগানে এ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। ৩০০ টাকা মজুরি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। দেশের বিভিন্ন বাগানে চা-শ্রমিকরা একত্রিত হয়েছেন। বাগানে বাগানে সমাবেশ হবে।

শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে দেশীয় চা-সংসদের সিলেট বিভাগের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, ‘মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনাকালে এভাবে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করা বেআইনি। এখন চা-বাগানে ভরা মৌসুম। কাজ বন্ধ রাখলে সবার ক্ষতি। তারাও এ মৌসুমে কাজ করে বাড়তি টাকা পায়।’

আরো পড়ুন: আবারও ধর্মঘটে চা শ্রমিকরা

ঢাকা/এসএ