০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

বিদায়ী সপ্তাহে বেড়েছে সূচক ও লেনদেনের পরিমান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪১৩৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় বিদায়ী সপ্তাহেও (১৪ থেকে ১৮ নভেম্বর) উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। আলোচ্য সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজারের একটি বাদে সব সূচকই বেড়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উত্থান হলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউট

সূত্রমতে, বিদায়ী সপ্তাহে সূচক উত্থানের ফলে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার মূলধন ফিরে পেয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭০ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩১ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৭ হাজার ৫৬২ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা চার হাজার ৬০৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৩১ টাকা বা ০.৮৩ শতাংশ বাজার মূলধন ফিরেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৯৯২ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল পাঁচ হাজার ৮৯৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ১৯৮ টাকা বা সাড়ে ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৫.৮৯ পয়েন্ট বা ১.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৯১.৮২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৭৫ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৯৮ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৮০.৩৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬৯৪.৯৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির বা ৪৫.৫৩ শতাংশের, কমেছে ১৯১টির বা ৫০.২৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির বা ৪.২১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৫২ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৫ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৮৬ কোটি ৩১ লাখ ৬ হাজার ৪০৮ টাকা বা ৫২ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৫.৮৯ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৭২৩.১২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৪১.৮২ পয়েন্ট বা ১.১৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮২.৩২ পয়েন্ট বা ১.৯৭ শতাংশ এবং সিএসই-৫০ সূচক ৩০.৮৭ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৪৫৯.৮০ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৫৪৫.৯৯ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৫৭৬.৬৪ পয়েন্টে। তবে সিএসআই ১৬.৭৯ পয়েন্ট বা ১.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬০.০৩ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৬টির বা ৪৩.৪৫ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৭৬টির বা ৫২.৩৮ শতাংশের কমেছে এবং ১৪টির বা ৪.১৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/এমটি 

শেয়ার করুন

x

বিদায়ী সপ্তাহে বেড়েছে সূচক ও লেনদেনের পরিমান

আপডেট: ১০:১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় বিদায়ী সপ্তাহেও (১৪ থেকে ১৮ নভেম্বর) উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। আলোচ্য সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজারের একটি বাদে সব সূচকই বেড়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উত্থান হলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউট

সূত্রমতে, বিদায়ী সপ্তাহে সূচক উত্থানের ফলে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার মূলধন ফিরে পেয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭০ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩১ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৭ হাজার ৫৬২ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা চার হাজার ৬০৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৩১ টাকা বা ০.৮৩ শতাংশ বাজার মূলধন ফিরেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৯৯২ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল পাঁচ হাজার ৮৯৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন এক হাজার ৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ১৯৮ টাকা বা সাড়ে ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৫.৮৯ পয়েন্ট বা ১.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৯১.৮২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৭৫ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৯৮ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৮০.৩৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬৯৪.৯৫ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির বা ৪৫.৫৩ শতাংশের, কমেছে ১৯১টির বা ৫০.২৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির বা ৪.২১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৫২ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬৫ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৮৬ কোটি ৩১ লাখ ৬ হাজার ৪০৮ টাকা বা ৫২ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৫.৮৯ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৭২৩.১২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৪১.৮২ পয়েন্ট বা ১.১৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮২.৩২ পয়েন্ট বা ১.৯৭ শতাংশ এবং সিএসই-৫০ সূচক ৩০.৮৭ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৪৫৯.৮০ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৫৪৫.৯৯ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৫৭৬.৬৪ পয়েন্টে। তবে সিএসআই ১৬.৭৯ পয়েন্ট বা ১.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৬০.০৩ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৬টির বা ৪৩.৪৫ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৭৬টির বা ৫২.৩৮ শতাংশের কমেছে এবং ১৪টির বা ৪.১৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/এমটি