১০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে প্রবাসীদের ভিড়, বাড়ছে প্রবাসী আয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৩৯৩ বার দেখা হয়েছে

ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন দেশের এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে বেড়েছে প্রবাসীদের ভিড়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পতনের আগে ও একদিন পর পর্যন্ত, অর্থাৎ ১ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ৯৫.৬৫ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৭ থেকে ১০ আগস্ট রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। এর মধ্যে দুদিন ছিল সপ্তাহিক ছুটি। সবমিলে চলতি আগস্টের প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ইন্টারনেট ও সংঘাতের কারণে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাটডাউন ঘোষণা দেন। এর প্রভাবে ওই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে। তার ধারাবাহিকতা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও ছিল। তবে সরকার পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগ

তাদের মতে, শেখ হাসিনার পতনের পর বর্তমানে দেশে হুন্ডি একেবারে বন্ধ রয়েছে। টাকা পাচার, আন্ডার বা ওভার ইনভয়েসিংয়ের মতো কারসাজিমূলক বিষয়গুলো বন্ধ থাকায় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।

তারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন হুন্ডি কম থাকবে। যেমনটি হয়েছিল কোভিডের সময়ে।

এর আগে, গেল জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও কোরবানি পরবর্তী মাস হওয়ায় প্রবাসী আয় আসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়।

জুলাই মাসে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, তা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১৯১ কোটি ডলার। যদিও তার আগের মাস জুনে এসেছিল ২৫৪ বিলিয়ন ডলার।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে প্রবাসীদের ভিড়, বাড়ছে প্রবাসী আয়

আপডেট: ০৪:৩৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন দেশের এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে বেড়েছে প্রবাসীদের ভিড়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পতনের আগে ও একদিন পর পর্যন্ত, অর্থাৎ ১ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ৯৫.৬৫ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৭ থেকে ১০ আগস্ট রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। এর মধ্যে দুদিন ছিল সপ্তাহিক ছুটি। সবমিলে চলতি আগস্টের প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৮ কোটি ২৭ লাখ ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ইন্টারনেট ও সংঘাতের কারণে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাটডাউন ঘোষণা দেন। এর প্রভাবে ওই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে। তার ধারাবাহিকতা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও ছিল। তবে সরকার পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগ

তাদের মতে, শেখ হাসিনার পতনের পর বর্তমানে দেশে হুন্ডি একেবারে বন্ধ রয়েছে। টাকা পাচার, আন্ডার বা ওভার ইনভয়েসিংয়ের মতো কারসাজিমূলক বিষয়গুলো বন্ধ থাকায় বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।

তারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন থাকবে, ততদিন হুন্ডি কম থাকবে। যেমনটি হয়েছিল কোভিডের সময়ে।

এর আগে, গেল জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও কোরবানি পরবর্তী মাস হওয়ায় প্রবাসী আয় আসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়।

জুলাই মাসে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, তা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১৯১ কোটি ডলার। যদিও তার আগের মাস জুনে এসেছিল ২৫৪ বিলিয়ন ডলার।

ঢাকা/এসএইচ