০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে হাইকোর্টের রুল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১০৩৯১ বার দেখা হয়েছে

বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নাম-ঠিকানা এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে করা রিটের শুনানি নিয়ে আজ রোবববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। এছাড়া দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

পরে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস গণমাধ্যমকে বলেন, পানামা পেপারসসহ বিভিন্ন পেপারসে নাম আসায় বাংলাদেশিদের সাজার বিষয়টি রিট পিটিশনে সংযোজন করা হয়। সেটি নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম খান ও অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীর চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীত ও বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়।

রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে হাইকোর্টের রুল

আপডেট: ০৫:২৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নাম-ঠিকানা এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে করা রিটের শুনানি নিয়ে আজ রোবববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। এছাড়া দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

পরে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস গণমাধ্যমকে বলেন, পানামা পেপারসসহ বিভিন্ন পেপারসে নাম আসায় বাংলাদেশিদের সাজার বিষয়টি রিট পিটিশনে সংযোজন করা হয়। সেটি নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম খান ও অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীর চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীত ও বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়।

রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।

 

আরও পড়ুন: