বিদ্যুতের মতো শিগগিরই গ্যাস সংকট নিরসন হবে: ফারুক হাসান
- আপডেট: ০৩:০৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
- / ৪১৬৫ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, আশা করছি শিগগিরই গ্যাস সংকট নিরসন হবে। বাংলাদেশ ব্রুনাই থেকে গ্যাস আমদানি করবে। ব্রুনাই থেকে গ্যাস আসা শুরু হলেই পোশাক কারখানায় জ্বালানির সমস্যা দূর হবে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক কারখানায় সাম্প্রতিক যে বিদ্যুৎ-গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত আছে। আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে পণ্য রপ্তানিতে যে সমস্যা হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে স্কেনিং মেশিন জটিলতায় পড়তে হয়েছিল একটা সময়। এখন চারটি স্কেনার মেশিন বসানো হয়েছে। বলতে পারি রপ্তানির ক্ষেত্রে ঢাকা বিমানবন্দরেও আর কোনো জটিলতা নেই।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সংবাদ সম্মেলনে ১৮ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সপ্তাহব্যাপী মেগা ইভেন্টের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিজিএমইএর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাত দিনব্যাপী মেগা ইভেন্ট ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ গত ১২-১৮ নভেম্বর উদযাপন করেছি। এই ইভেন্টের থিম ছিলো ‘কেয়ার ফর ফ্যাশন’। এই ইভেন্টের বিভিন্ন দিক আপনাদেরকে অবহিত করতেই আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।
সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে সামিট, এক্সপোজিশন, ফটো এক্সিবিশন, কনফারেন্স, ফ্যাশন ইনোভেশন রানওয়ে শো, সাসটেইনেবল ডিজাইন এবং ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাক্টরি ট্যুর ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিং ডিনারসহ মোট ১৭টি কর্মসূচি ছিলো। মেড ইন বাংলাদেশ উইক আয়োজনের ৩টি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বলেও জানান তিনি।
সেগুলো হলো- প্রথমত পোশাক শিল্পকে এবং সামগ্রিক বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা; বিশেষ করে শিল্পের যে প্রকৃত রূপান্তর ঘটেছে, তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে শিল্পের ব্র্যান্ডিং করা।
আরও পড়ুন: আগামী মাস থেকে ডলার সংকট থাকবে না: সালমান এফ রহমান
দ্বিতীয়ত রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য প্রধান কৌশলগত লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করে শিল্পের জন্য একটি টেকসই রোডম্যাপ তৈরির জন্য শিল্পের সব অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে এ ব্যাপারে তাদের মতামত নেওয়া।
তৃতীয়ত সরকার, ব্র্যান্ড-ক্রেতা, বিভিন্ন সাপ্লায়ার (টেকনোলজি, মেশিন, এক্সেসরিজ সরবরাহকারী), শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করা।
ঢাকা/এসএ