০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় সহসায় উঠছে না ফ্লোর প্রাইস

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:১৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
  • / ১০৫১২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের ওপর আরোপিত ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তুলে দেওয়ার দাবির আলোকে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। যা তুলে বাজারে বড় পতন হবে বলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। যার প্রভাবে আজ পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লেও মূল্য সূচক কমেছে ১১৯ পয়েন্ট। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া নিয়ে কোন ধরনের চিন্তা-ভাবনা করছে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে একটি গোষ্ঠি ফ্লোর প্রাইস নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। কমিশন ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার কথা ভাবছে না। অদূর ভবিষ্যতে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার পরিকল্পনাও কমিশনের নেই। ফলে শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘ফ্লোর প্রাইস’ পদ্ধতি অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দেব, ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার কোনো খবর যেন তারা বিশ্বাস না করে, যতক্ষণ না কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।’

এর পূর্বে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম বলেন, কমিশন ফ্লোর প্রাইস উঠানোর ব্যাপারে কোন আলোচনা বা চিন্তা কিছুই করেনি। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস উঠানোর ব্যাপারে সামনে কোন পরিকল্পনাও নেই। যারাই এ ব্যাপারে কথা বলে তারা শুধুই গুজব ছড়াচ্ছে। আমি বিনিয়োগকারীদের বলবো, যতক্ষণ কমিশনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না আসে ততক্ষণ কোন সোর্সকে যেন বিশ্বাস না করে। ফ্লোর প্রাইস চলবে অনির্দিষ্টকাল।

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর লেনদেনের শুরুতে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হচ্ছে এমন গুজব ছাড়নো হয়। ফলে মুনাফা তুলে নিতে শুরু হয় শেয়ার বিক্রির চাপ, যা লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। একই পরিস্থিতি আজও বাজারে লক্ষ কারা গেছে। আজ ডিএসইতে ১৪’শ কোটি টাকা লেনদেন হলেও মূল্য সূচক কমেছে ১১৯ পয়েন্ট। 

উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট কমিশন নিজস্ব ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকবে। ওই সময় আরেক দফায় ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া নিয়ে দাবি উঠানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে একটি পক্ষ কম দামে শেয়ার কেনার জন্য বাজার ফেলানোর পাঁয়তারা করে বলে অনেকে মনে করেন। তবে কমিশন বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় তা তোলেনি।

আরও পড়ুন: ব্লকে তিন কোম্পানির বিশাল লেনদেন

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় সহসায় উঠছে না ফ্লোর প্রাইস

আপডেট: ০৮:১৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের ওপর আরোপিত ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তুলে দেওয়ার দাবির আলোকে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। যা তুলে বাজারে বড় পতন হবে বলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। যার প্রভাবে আজ পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লেও মূল্য সূচক কমেছে ১১৯ পয়েন্ট। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া নিয়ে কোন ধরনের চিন্তা-ভাবনা করছে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে একটি গোষ্ঠি ফ্লোর প্রাইস নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। কমিশন ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার কথা ভাবছে না। অদূর ভবিষ্যতে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার পরিকল্পনাও কমিশনের নেই। ফলে শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘ফ্লোর প্রাইস’ পদ্ধতি অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দেব, ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার কোনো খবর যেন তারা বিশ্বাস না করে, যতক্ষণ না কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।’

এর পূর্বে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম বলেন, কমিশন ফ্লোর প্রাইস উঠানোর ব্যাপারে কোন আলোচনা বা চিন্তা কিছুই করেনি। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস উঠানোর ব্যাপারে সামনে কোন পরিকল্পনাও নেই। যারাই এ ব্যাপারে কথা বলে তারা শুধুই গুজব ছড়াচ্ছে। আমি বিনিয়োগকারীদের বলবো, যতক্ষণ কমিশনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না আসে ততক্ষণ কোন সোর্সকে যেন বিশ্বাস না করে। ফ্লোর প্রাইস চলবে অনির্দিষ্টকাল।

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর লেনদেনের শুরুতে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হচ্ছে এমন গুজব ছাড়নো হয়। ফলে মুনাফা তুলে নিতে শুরু হয় শেয়ার বিক্রির চাপ, যা লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। একই পরিস্থিতি আজও বাজারে লক্ষ কারা গেছে। আজ ডিএসইতে ১৪’শ কোটি টাকা লেনদেন হলেও মূল্য সূচক কমেছে ১১৯ পয়েন্ট। 

উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট কমিশন নিজস্ব ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকবে। ওই সময় আরেক দফায় ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া নিয়ে দাবি উঠানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে একটি পক্ষ কম দামে শেয়ার কেনার জন্য বাজার ফেলানোর পাঁয়তারা করে বলে অনেকে মনে করেন। তবে কমিশন বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় তা তোলেনি।

আরও পড়ুন: ব্লকে তিন কোম্পানির বিশাল লেনদেন

ঢাকা/এসএ