বিলাসী পণ্য আমদানিতে আরও নিয়ন্ত্রণ আসছে

- আপডেট: ০৩:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২
- / ১০৩১৬ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামী অর্থবছরের প্রথম দিন (১ জুলাই) থেকেই অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করছে। এর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন আরও বাড়ানো হবে।
এসব পণ্যের এলসি খোলা ও আমদানির দেনা শোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা দেওয়া হবে না। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে বিলাসী পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এদিকে বৃহস্পতিবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করতে আগামী ১ জুলাই থেকে আমদানির ক্ষেত্রে আরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে দুই দফায় এলসি মার্জিন আরোপ করেছে। প্রথমে এসব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ মার্জিন আরোপ করে। পরে এলসি খোলার হার না কমায় মার্জিন বাড়িয়ে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ করা হয়। এছাড়া এনবিআর ১৩৬টি বিলাসী পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করেছে। এসব কারণে পণ্যগুলোর এলসি খোলার হার কমছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে প্রত্যাশা করেছিল যেভাবে কমেনি। এ কারণে এগুলোতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছে।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ডলার সাশ্রয় ও বিলাসী পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাটের হার বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, বিড়ি-সিগারেট, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বিদেশি পাখি, গ্যাস লাইটার ইত্যাদি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বিলাসী পণ্য যেমন-শ্যাম্পো, সাবান, প্রসাধনী সামগ্রী, বিদেশি সোফা, কোমল পানীয়, ফার্নিচার এসব পণ্য যারা ব্যবহার করে তাদের কাছে দাম কোনো বিষয় নয়। দাম যত বেশিই হোক তার চেয়ে প্রয়োজন মেটানোই জরুরি। ফলে ক্রেতার নিশ্চয়তা পেয়ে আমদানিকারকরাও নগদ অর্থে হলেও এসব পণ্য আমদানি করতে এলসি খুলছে। এ কারণে ওইসব পণ্যের আমদানি খুব একটা কমেনি। এ কারণে এ খাতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।
ঢাকা/টিএ