০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

বিশ্বকাপে ‘নিষিদ্ধ ইনজেকশন’ নিয়ে খেলেছেন রিজওয়ান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
  • / ৪১৪৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, বুকে লাগানো অনেক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি- গত বছর হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ভাইরাল হয় এমন একটি ছবি। এর বিস্তারিত খোঁজ নিলে জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে দুইদিন আইসিইউতে ছিলেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেখান থেকে রীতিমতো অলৌকিক ঘটনার জন্ম দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচটি খেলার জন্য ফিট হন রিজওয়ান। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের হেরে যাওয়া ম্যাচে ৫২ বলে ৬৭ রানের ইনিংসও আসে ফর্মের তুঙ্গে থাকা এ ডানহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে।

রিজওয়ানের এই অলৌকিকতার পেছনে ছিল অন্যরকম এক রহস্য! দ্রুত সেরে ওঠার জন্য আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ এক ইনজেকশন নিয়েছিলেন রিজওয়ান। যা প্রায় ছয় মাস পর জানালেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক নাজিব সোমরো।

পিসিবির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আপলোডকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, রিজওয়ানের সঙ্গে আড্ডাচ্ছলে কথা বলছেন সোমরো। সেখানেই উঠে আসে সেমিফাইনালের আগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা আইসিইউতে কাটানো সময় এবং অলৌকিকভাবে মাঠে ফিরে আসার ঘটনা।

সোমরো রিজওয়ানের কাছে জানতে চান, সেই সময়ের কী মনে আছে তার? উত্তরে রিজওয়ান বলেন, ‘আমার তেমন বিশেষ কিছু মনে নেই। প্রথম কাঁধ ও পিঠের দিকে ব্যথা হচ্ছিল। পরে পুরো সামনের দিকে ব্যথা চলে আসে। পরে আপনাকে ফোন দেওয়ার পর বললেন জ্বলদি বের হও। আমার এগুলো কিছু মনে আছে।’

তখন শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা হচ্ছিলো রিজওয়ানের। অতি জরুরী অবস্থা হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে রিজওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান সোমরো। হাসপাতালে যাওয়ার পর নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল রিজওয়ানের। চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল তার।

হাসপাতালে ১২-১৩টি পরীক্ষার পর এক নার্স রিজওয়ানকে জানান, আর ২০ মিনিট দেরি হলে খুব খারাপ কিছু হতে পারতো। আর এটি থেকে সেরে উঠতে অন্তত এক সপ্তাহ লেগে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানের সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল দুই দিন পর। তাই হাসপাতালে থাকার পক্ষে ছিলেন না রিজওয়ান।

কিন্তু তার শ্বাসনালী প্রায় পুরোটাই ব্লক ছিল। যে কারণে খুবই উচ্চমাত্রার একটি ইনজেকশন নেওয়া প্রয়োজন ছিল তার। সেই ইনজেকশন আবার যেকোনো ক্রীড়াবিদের জন্য নিষিদ্ধ। তাই রাত ৩টার সময় খানিক বিপদেই পড়ে গিয়েছিলেন সোমরো। তবু আইসিসির অনুমতি নিয়ে রিজওয়ানকে দেওয়া হয় সেই ইনজেকশন।

সোমরোর ভাষ্য, ‘তো বিষয়টা এমন হলো যে আপনাকে (রিজওয়ান) খুবই উচ্চমাত্রার একটি ইনজেকশন দেওয়া প্রয়োজন ছিল। যা আমরা অন্য খেলোয়াড়দের দিতে পারবো না। তাই রাত ৩টা বাজে আইসিসির কাছ থেকে অনুমতি নিলাম এবং অনুমতির পরে আপনাকে সেই ইনজেকশন দেওয়া হয়।’

মূলত সেই ইনজেকশনের পরই সুস্থ হতে শুরু করেন রিজওয়ান এবং পিসিবির ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েই পান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলার অনুমতি। সেই ম্যাচে রিজওয়ান ফিফটি হাঁকালেও ম্যাথু ওয়েডের ঝড়ে হেরে যায় পাকিস্তান।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বিশ্বকাপে ‘নিষিদ্ধ ইনজেকশন’ নিয়ে খেলেছেন রিজওয়ান

আপডেট: ০৬:০৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, বুকে লাগানো অনেক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি- গত বছর হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ভাইরাল হয় এমন একটি ছবি। এর বিস্তারিত খোঁজ নিলে জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে দুইদিন আইসিইউতে ছিলেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সেখান থেকে রীতিমতো অলৌকিক ঘটনার জন্ম দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচটি খেলার জন্য ফিট হন রিজওয়ান। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের হেরে যাওয়া ম্যাচে ৫২ বলে ৬৭ রানের ইনিংসও আসে ফর্মের তুঙ্গে থাকা এ ডানহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে।

রিজওয়ানের এই অলৌকিকতার পেছনে ছিল অন্যরকম এক রহস্য! দ্রুত সেরে ওঠার জন্য আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ এক ইনজেকশন নিয়েছিলেন রিজওয়ান। যা প্রায় ছয় মাস পর জানালেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক নাজিব সোমরো।

পিসিবির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আপলোডকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, রিজওয়ানের সঙ্গে আড্ডাচ্ছলে কথা বলছেন সোমরো। সেখানেই উঠে আসে সেমিফাইনালের আগে প্রায় ৩০ ঘণ্টা আইসিইউতে কাটানো সময় এবং অলৌকিকভাবে মাঠে ফিরে আসার ঘটনা।

সোমরো রিজওয়ানের কাছে জানতে চান, সেই সময়ের কী মনে আছে তার? উত্তরে রিজওয়ান বলেন, ‘আমার তেমন বিশেষ কিছু মনে নেই। প্রথম কাঁধ ও পিঠের দিকে ব্যথা হচ্ছিল। পরে পুরো সামনের দিকে ব্যথা চলে আসে। পরে আপনাকে ফোন দেওয়ার পর বললেন জ্বলদি বের হও। আমার এগুলো কিছু মনে আছে।’

তখন শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা হচ্ছিলো রিজওয়ানের। অতি জরুরী অবস্থা হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে রিজওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান সোমরো। হাসপাতালে যাওয়ার পর নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল রিজওয়ানের। চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল তার।

হাসপাতালে ১২-১৩টি পরীক্ষার পর এক নার্স রিজওয়ানকে জানান, আর ২০ মিনিট দেরি হলে খুব খারাপ কিছু হতে পারতো। আর এটি থেকে সেরে উঠতে অন্তত এক সপ্তাহ লেগে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানের সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল দুই দিন পর। তাই হাসপাতালে থাকার পক্ষে ছিলেন না রিজওয়ান।

কিন্তু তার শ্বাসনালী প্রায় পুরোটাই ব্লক ছিল। যে কারণে খুবই উচ্চমাত্রার একটি ইনজেকশন নেওয়া প্রয়োজন ছিল তার। সেই ইনজেকশন আবার যেকোনো ক্রীড়াবিদের জন্য নিষিদ্ধ। তাই রাত ৩টার সময় খানিক বিপদেই পড়ে গিয়েছিলেন সোমরো। তবু আইসিসির অনুমতি নিয়ে রিজওয়ানকে দেওয়া হয় সেই ইনজেকশন।

সোমরোর ভাষ্য, ‘তো বিষয়টা এমন হলো যে আপনাকে (রিজওয়ান) খুবই উচ্চমাত্রার একটি ইনজেকশন দেওয়া প্রয়োজন ছিল। যা আমরা অন্য খেলোয়াড়দের দিতে পারবো না। তাই রাত ৩টা বাজে আইসিসির কাছ থেকে অনুমতি নিলাম এবং অনুমতির পরে আপনাকে সেই ইনজেকশন দেওয়া হয়।’

মূলত সেই ইনজেকশনের পরই সুস্থ হতে শুরু করেন রিজওয়ান এবং পিসিবির ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েই পান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলার অনুমতি। সেই ম্যাচে রিজওয়ান ফিফটি হাঁকালেও ম্যাথু ওয়েডের ঝড়ে হেরে যায় পাকিস্তান।

ঢাকা/টিএ