০১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যাবে আগামী সপ্তাহে: সিআইডি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০৯৪ বার দেখা হয়েছে

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনের ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী ছিল কারণ।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সিআইডি প্রধান বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস যখন সমস্ত কাজ শেষ করেছে, আগুন নিভিয়েছে তখন সিআইডি’র একাধিক টিম সেখানে কাজ করেছে। সেখানে সিআইডি’র ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশ আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে আগুনের কারণ কী?

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যাল আলামতও টেস্ট করা হচ্ছে। এটার কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল কি-না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।

আগুনের ঘটনায় রাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েট ও ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এর জন্য দায়ী তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে আগুনের ঘটনা প্রতিরোধে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

গত ৪ মার্চ পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে খবর পেয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। তবে এই ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: বনানীতে নির্মাণাধীন ভবনে আগুন

আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছয়জনের অবস্থা ‘ভালোর দিকে’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে আহত চারজন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁরা হলেন রাকিব (২৫), মেহেদী হাসান (২২), সুমাইয়া আকতার (৩১) ও ফারদিন (১৮)।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক মেডিক্যাল সার্জন তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে ১৪ জন রোগী এসেছিল। চারজন রোগী এখন পর্যন্ত ভর্তি আছেন। তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই আমরা ছাড়ব।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুবায়ের আহামেদ (২৫) ও ইকবাল হোসেন (২৩) নামের দুজন চিকিৎসাধীন। সেখানকার জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক আলাউদ্দিন জানান, তারা সুস্থতার দিকে, অবজারভেশনে আছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যাবে আগামী সপ্তাহে: সিআইডি

আপডেট: ০৭:১২:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনের ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী ছিল কারণ।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সিআইডি প্রধান বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস যখন সমস্ত কাজ শেষ করেছে, আগুন নিভিয়েছে তখন সিআইডি’র একাধিক টিম সেখানে কাজ করেছে। সেখানে সিআইডি’র ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশ আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে আগুনের কারণ কী?

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যাল আলামতও টেস্ট করা হচ্ছে। এটার কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল কি-না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।

আগুনের ঘটনায় রাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েট ও ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এর জন্য দায়ী তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে আগুনের ঘটনা প্রতিরোধে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

গত ৪ মার্চ পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে খবর পেয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। তবে এই ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: বনানীতে নির্মাণাধীন ভবনে আগুন

আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছয়জনের অবস্থা ‘ভালোর দিকে’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে আহত চারজন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁরা হলেন রাকিব (২৫), মেহেদী হাসান (২২), সুমাইয়া আকতার (৩১) ও ফারদিন (১৮)।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক মেডিক্যাল সার্জন তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে ১৪ জন রোগী এসেছিল। চারজন রোগী এখন পর্যন্ত ভর্তি আছেন। তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই আমরা ছাড়ব।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুবায়ের আহামেদ (২৫) ও ইকবাল হোসেন (২৩) নামের দুজন চিকিৎসাধীন। সেখানকার জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক আলাউদ্দিন জানান, তারা সুস্থতার দিকে, অবজারভেশনে আছে।

ঢাকা/এসএম